যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় - রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি
প্রিয় পাঠক, আপনি কি জানেন যে সব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় সে কারণগুলো আমরা কিভাবে করে ফেলি বা কোন কারণগুলোর কারণে রোজা ভেঙে যায় বা রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ কি কি আপনি যদি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে করুন এবং জেনে ফেলুন যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় এবং রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি চলন দিনে না করে শুরু করা যাক।
রোজা সমূহ সম্পর্কে বিভিন্ন কারণ আমরা এয়ার টিকেটের মধ্যে তুলে ধরছি যেমন: যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় ও রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ কি কি ও মেয়েদের রোজা ভাঙ্গার কারণ ও ছেলেদের রোজা ভঙ্গের কারণ এবং যেসব কারণে রোজা হালকা হয়ে যায়। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করেছি। জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন
পোষ্ট সূচিপত্র:যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় এবং রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি বিস্তারিত জানুন
যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়
আমরা কম বেশি সকলে জানি রোজা ভাঙ্গার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যে কারণগুলো যদি আমরা করে থাকি তাহলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে বা হালকা হয়ে যেতে পারে। এবং সেই কারণগুলোই আমরা বেশি করে থাকি। আমরা অন্য কেউ আছে জানিনা যে সেই কারণগুলো কি কি আমরা যদি কোন রোজা থাকা অবস্থায় কোন মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি বা মেয়েদের সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে তাহলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে।
তাছাড়াও আমরা যদি রোজা থাকা অবস্থায় কোন ধরনের খাবার খায় তাহলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে। এমনকি আমরা যদি কোন ধরনের নেশা দ্রব্য পান করে থাকি তাহলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে। তাছাড়াও আমাদের শরীরে যদি ইনজেকশন করা হয় তাহলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে।
আমরা যদি রোজা থাকা অবস্থায় আমাদের হাত পা কেটে রক্ত বের করি তাহলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে। আমরা যদি রোজা থাকা অবস্থায় সালাত আদায় না করি তাহলে আমাদের রোজা হবে না মূলত যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি
রোজা ভাঙ্গার কম-বেশি অনেকগুলো কারণে রয়েছে যেগুলো আমরা অনেকে জানি আবার অনেকে জানিনা তো চলুন কিছু কারণ জেনে নেওয়া যাক। আমরা যদি রোজা থাকা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার খায় তাহলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে। আবার আমরা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পানি পান করি তাহলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে আবার আমরা যদি রোজা থাকা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
আবার আমরা যদি রোজা থাকা অবস্থায় বমি করি তাহলে ও আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে। রোজা থাকা অবস্থায় আমরা যদি যৌন মিলন করি তাহলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে। রোজা থাকা অবস্থায়, স্যালাইন, ইন হিলার, ইনজেকশন, নাকে ড্রপ, কানে ড্রপ, চোখের ড্রপ গ্রহণ করি তাহলেও আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে। যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায় আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ
কোন মেয়ে যদি রোজা থাকা অবস্থায় পদ্মা অবলম্বন না করে চলে পর পুরুষের সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করে তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। তাছাড়াও সে যদি রোজা থাকা অবস্থায় সালাত আদায় না করে তাহলে তার রোজা হবে না। তাছাড়াও সে যদি রোজা থাকা অবস্থায় কোন খাবার খায় তাহলে তার রোজা ভেঙে যাবে। আমার ইচ্ছাকৃতভাবে পানি পান করলে আবার অনেক সময় হাত-পা কেটে গেলে রক্ত যদি গড়িয়ে পড়ে তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে।
রোজা থাকা অবস্থায় তার যদি পিরিয়ড বা মাসিক চলে তাহলে তার রোজা হবে না। রোজা থাকা অবস্থায় সে যদি শারীরিক সম্পর্ক করে তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। মূলত এইসব কারণে রোজা ভেঙে যায়।
ছেলেদের রোজা ভাঙার কারণ
কোন ছেলে যদি রোজা থাকা অবস্থায় কোন অপরচিত মেয়েদের দিকে তাকায় এবং তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে তা হাতে করে তার রোজা ভেঙ্গে এবং হালকা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং কি সে যদি কোন ধরনের খাবার দ্রব্য খায় তাহলেও তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। তাছাড়া রোজা থাকা অবস্থায় কোন ধরনের নেশা দ্রব্য পান করা যাবে না।
কোন ছেড়ে যদি রোজা থাকা অবস্থায় ফোনে কোন খারাপ ধরনের ভিডিও দেখে তাহলে এমনকি তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। রোজা থাকা অবস্থায় সে যদি নামাজ আদায় না করে তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। রোজা থাকা অবস্থায় সে যদি হস্তমৈথুন করে তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। রোজা থাকা অবস্থায় শরীরে ইনজেকশন বা স্যালাইন করা হলেও রোজা ভেঙ্গে যায়।
নাকে ড্রপ কানের ড্রপ ইন হিলার চোখের ড্রপ এসব নিলেও রোজা ভেঙ্গে যায়। বিশেষ করে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায় ফোনে যখন আমরা কোন ধরনের ভিডিও দেখি খারাপ ভিডিও চোখের সামনে চলে আসে সেই সময় আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায়।
যেসব কারণে রোজা হালকা হয়ে যায়
আমরা অনেকেই আছে জানিনা যে কি কারনে আমাদের রোজা হালকা হয়ে যায় বা রোজা দুর্বল হয়ে যায়। রোজা হালকা হওয়া যাওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে মানুষকে গালি দেওয়া এবং মিথ্যা কথা বলা আমরা যদি কথার ছলে ও মানুষকে মিথ্যা কথা বলে ফেলি তাহলেও আমাদের রোজা হালকা হয়ে যাবে। এটা ছাড়াও আমরা কথার মাধ্যমে বা কাউকে গালি দিয়ে থাকে তাহলে আমাদের রোজা হালকা হয়ে যাবে।
আমরা অনেকেই আছি যে মনে করি গালি দিলে রোজা ভেঙ্গে যায় কিন্তু মোটে তা হয় না আমরা যখন কাউকে গালি দেই তখন আমাদের রোজা অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ আমরা যখন রোজা থাকি তখন আমার সম্পূর্ণ পাপ পবিত্র থাকার চেষ্টা করি কারণ রোজা থেকে সবসময় আমরা সত্য কথা বলার চেষ্টা করি। কারণ আমরা রোজা থেকে আল্লাহ সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য সেই সন্তুষ্ট অর্জনের মধ্যে যদি আমরা কাউকে গালি দিয়ে ফেলি তাতে আল্লাহ মন খারাপ করে।
ফেলে যার ফলে আমাদের রোজা অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। তাই আমরা রোজা থাকা অবস্থায় কাউকে চাইলেও গালি দিতে পারব না এবং আমরা কাউকে গালি দেওয়ার চেষ্টাও করবো না। আমরা কাউকে গালি দিলে আমাদের রোজা সম্পূর্ণভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে তা কারো সাথে মিথ্যা কথা বললেও আমাদের রোজা সম্পন্ন দুর্বল হয়ে পড়বে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কি সব কারণে আমাদের রোজা হালকা হয়।
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url