সিলেটের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানুন.

প্রিয় পাঠক, সিলেটের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে কি জানেন আপনি যদি সিলেটের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে না জেনে থাকেন। তাহলে আপনি সিলেট গিয়ে পুরো সিলেটকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবেন না। তাই সিলেটে যাওয়ার আগে আপনাকে খুব ভালোভাবে জানতে হবে সিলেটের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে যেগুলো পুরো সিলেটকে আরো বিখ্যাত হিসেবে গড়ে তুলেছে। আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানবোসিলেটের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।
সিলেটে সেরা দশটি দর্শনীয় স্থান
আমরা বিভিন্ন মোসুমি ছেলেটা ঘুরতে যাই কিন্তু সুন্দর সুন্দর জায়গার নাম জানি না সেজন্য সুন্দর সুন্দর স্থান ও উপভোগ করতেও পারে না। তো চলুন সিলেটের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্র:সিলেটের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে নিচে পড়ুন

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আপনি কি সিলেটের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানেন যেগুলো পুরো সিলেট জেলাকে খুবই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে তাছাড়াও এই জায়গাগুলো হাজার হাজার পর্যটক এর মন ফ্রেশ করে বা সুন্দর করে তুলেছে। এই জায়গায় প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকরা ছুটে যায়।

তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানাবো সিলেটের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। যে জায়গাগুলোর নাম জানার পরেও আপনি যদি কখনো ছিলেন যান এই জায়গা গুলো অবশ্যই ঘুরে দেখবেন। সিলেটের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান নিচে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হলো।

১/জাফলং
সিলেটে এসে প্রথমে আপনার যাওয়া উচিত ছেলেটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা এ জাফলং এ। সিলেট আসবেন আর জাফলং যাবেন না সেটা একপ্রকার অসম্ভব কথা। জাফলং কেন যাবেন এই কথা কখনোই বলে শেষ করা যাবে না। এক কথায় বলতে গেলে জাফরানকে আপনি যে প্রাকৃতিক সৌন্দর দেখা পাবেন যা আপনি এর আগে কোনদিন দেখেননি। জাপানের সবচেয়ে সুন্দরতম জিনিস হচ্ছে জাফলং যাওয়ার জন্য সরু বড় মোটা চিকন পাথরে ঘেরা সুন্দর রাস্তাগুলো।

জাফলং প্রকৃতি কন্যা হিসেবে পরিচিত। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেষা পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা নদীর স্বচ্ছ পানি ধারা ঝুলন্ত ব্রিজ উঁচু পাহাড়ের সাদা মেঘের খেলা জাফলং কে করেছে অরণ্য। একাকরুতে জাফলং কে দেখতে এক এক রকম লাগে ছয়টি ঋতুতে জাপানকে দেখতে ছয়টি রূপে দেখা যায়। যা পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সারা বছরই আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে।

২/রাতারগুল সম ফরেস্ট
রাতারগুল বাংলাদেশের একমাত্র সোম ফরেস্ট এটির সিলেট জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট ইউনিয়নে অবস্থিত। রাতারগুল প্রায় ৩০ হাজার ৩৩০ একর জায়গার ওপর অবস্থিত। এলাকার চার একর জায়গার উপরে রয়েছে। বন ও বাকি জায়গায় জলাশয় পণ্য তবে বর্ষার সময় পুরো এলাকা থেকে দেখতে একই রকম মনে হয়। রাতারগুল সিলেটের সুন্দরবন নামে খ্যাত রাতারগুল জনগণ পাঁচ থেকে ছয় মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে।

সেই সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পানির নিচে ডুবে থাকা গাছ দেখতে এবং সুন্দর স্থান উপভোগ করতে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসে। তাছাড়াও অনেক পর্যটক এটার নাম দিয়েছেন বাংলাদেশের অ্যামাজন জঙ্গল বর্ষায় সময় গাছের ডালে দেখা মিলে নানান জাতের প্রজাতির পাখি।

আবার নতুন কিছু বর্ণ পানীয় আশ্রয় নেয় গাছের ডালে এছাড়াও শীতকালে গাছের ডালে বসে হাজারো অতিথি পাখির মেলা। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রাতারগুল ভ্রমণের সবচেয়ে উত্তম সময় রাতারগুল একটি প্রাকৃতিক বর্ণ এ বনে রয়েছে প্রায় 25 পোশাকের গাছপালা।

৩/বিছনাকান্দি
বিছনাকান্দি সিলেটের গোয়ানঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। বিছনাকান্দি মূলত জাফলং ও ভোলাগঞ্জের মতই একটি পাথর কয়েন এলাকা। বাংলাদেশ ভারত এর খুশিয়া পাহাড়ের অনেকগুলো ধাপ দুইপাশ থেকেই সেই বিছনাকান্দি মিলিত হয়েছে। সেই সাথে মেঘালয় পাহাড়ের সমুদ্র ঝরনা বিছনাকান্দির সৌন্দর্য কে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা পর্যটকদের কাছে বিছনাকান্দি মূল আকর্ষণ হচ্ছে।

পাথরের উপর দিয়ে বয়ে যায় স্বচ্ছ জলধারা পাহাড়ে পাহাড়ে শুকনো মেঘের ওড়াউড়ি প্রথম দেখায় আপনার মনে হবে। পাথরের বিছানো একটি সুন্দর এরিয়া বা এলাকা আপনি চাইলে বিছনাকান্দির স্বচ্ছ পানিতে আপনার গা এলে দিতে পারেন। পাহাড়, নদী, আকাশ, ও সাদা পাথরে বিছিয়ে রাখা সুন্দরতম একটি জায়গা বিছনাকান্দি।

৪/ভোলাগঞ্জ
সিলেট জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত প্রকৃতিতে ঘেরা সুন্দর একটি পাথর কোয়ারি দেশের নাম ভোলাগঞ্জ। বাহ ভোলাগঞ্জের সীমান্তে মেঘালয় এরিয়াতে রয়েছে ভারতের সবচেয়ে উঁচু উঁচু পাহাড়। সে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণাধেরা এবং ঝোলাই নদীর পানির ধারা অন্যদিকে এ পানি প্রভাব হয় ভোলাগঞ্জ রূপের উৎস। সবুজ পাহাড় মেঘের হাতছানি আর বর্ষার পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসে সাদা পাথর ধোলাই নদীর বুকে মিলেমিশে আরো সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে ভোলাগঞ্জ কে।

৫/লোভা ছড়া
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় উত্তর-পূর্ব পার ঘেষা সবুজ পাহাড় ও জলভূমি এলাকা হলো লোভা ছড়া তাছাড়া রয়েছে ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া/লোভা ছড়া চা বাগান ১৯২৫ সালে নির্মিত পুরনো ঝুলন্ত সেতু ও খাসিয়া গ্রাম পাহাড় নদী ও নীল আকাশের অপূর্ব মায়াজালে প্রকৃতিকে আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে লোভা ছড়া। চা বাগান ও ঝুলন্ত ব্রিজ ছাড়াও রয়েছে।

সুন্দরতম ঝরনা ও খাসিয়া পল্লী মোগল আমল থেকেই পাথর কোয়ারি বন বিভাগের সামাজিক বন্ধন বছরের যে কোন সময় আপনি চাইলে লোভা ছড়াযেতে পারবেন। বর্ষাকালে শুভ চা পাতায় পুরো লোভা ছড়া ঘিরে যায় এবং শীতকালে কুয়াশার মাঝে এই লোভা ছড়া কারো সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তাছাড়াও আপনি যদি সকালবেলায় লোভা ছড়া বাগানে যান তাহলে আপনার সাথে দেখা মিলবে খরগোশ, হরিণ, বন্মরোগ ইত্যাদি।

৬/হযরত শাহজালাল রাদিয়াল্লাহু মাজার
৩৬০ আউলিয়ার সিলেট নগরী পূণ্যভূমি হিসেবে খ্যাত। সিলেটের মাটিতে যতগুলো মাজার রয়েছে তার মধ্যে হযরত শাহজালাল রাদিয়াল্লাহু মাজার খুবই অন্যতম। এর জন্য তাকে অলি কুল শিরোমনি বলা হয়। হযরত শাহজালাল রাদিয়াল্লাহু আনহু সকল ধর্মের মানুষের কাছে সমত্রতি ছিলেন। প্রতিবছর শাহজালাল রাদিয়াল্লাহু মাজার দেখতে ধর্ম মেনে চলা হাজার হাজার মানুষ দেখা যায়।

৭/সংগ্রাম পুঞ্জি ঝর্ণা
সংগ্রাম পুঞ্জী ঝর্ণার স্থানীয় নাম মায়াবী ঝর্ণা জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে সীমান্তরয়ে অবস্থিত। এ মায়াবী ঝর্নাতে যেতে মাত্র 15 থেকে 20 মিনিট সময় লাগে পাহাড়ের গা ঘাগে ঝরনার জল পড়ে পুকুরের মতো সৃষ্টি হয়েছে। এই ধরনায় রয়েছে মোট তিনটি ধাপ ভ্রমণ পাগল মানুষদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা হল সংগ্রাম পুঞ্জী ঝর্ণা । ঝরনার তৃতীয় ধাপে রয়েছে একটি সুরঙ্গ এবং সুরঙ্গ পথের শেষ এখন পর্যন্ত অজানা। ঝরনার সবগুলো ধাপ দেখতে চাইলে পিচ্ছিল পাথর পেরিয়ে আপনাকে যেতে হবে যার জন্য অনেক সাহস এর প্রয়োজন হবে।

৮/লাক্কাতুরা চা বাগান
দুটি পাতা এবং চা পাতার জন্য বিখ্যাত চৌকি দেখি উসমানী জেলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সিলেটের উত্তর পাশে টিলার উপর লাক্কাতুরা চা বাগান অবস্থিত। টি অধিদপ্তরের আওতায় ১২৯৩ হেক্টর বা ৩২০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তারিত অসংখ্য চা গাছ এবং উঁচু-নিচু পাহাড়ের ঘেরা লাক্কাতুরা চা বাগান দেশের বৃহত্তম চা বাগানের মধ্যে খুবই অন্যতম। বছরে উৎপাদিত প্রায় 5 লাখ কেজি চা দেশ ও চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।

৯/লক্ষণছাড়া
সিলেটের কয়েন হাট উপজেলায় ঝর্ণা কাছে একটি দর্শনীয় স্থান। আপনি চাইলে প্রান্তময় ঝর্ণা দেখতে গিয়ে লক্ষণছাড়া ঘুরে আসতে পারেন। এই দুইটি একই নদীর তীরে অবস্থিত বা পাশাপাশি অবস্থিত। গ্রামের ভিতর দিয়ে সীমান্ত বরাবর মিনিট বিশাখা হাঁটার পর এই লক্ষণছাড়া পেয়ে যাবেন। লক্ষণ স্বরাজ ঝর্ণার উপর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য একটি ব্রিজও রয়েছে। আরে ভরা বর্ষায় লক্ষণছাড়া ধরনা সৌন্দর্য আরো বেড়ে ওঠে।

১০/পান্তুময় ঝর্ণা
বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের এ অবস্থিত মেঘালয় পাহাড়ের গরের ভিসা একটি সুন্দর গ্রামের নাম সিলেটের ওয়াইফাই উপজেলার জাফলং ইউনিয়নে গ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রামের মধ্যে অন্যতম মেঘালয় পাহাড় এবং পিয়াল নদীর পাড়ে আছে প্রকৃতির আরেক সুন্দর নিদর্শন প্রান্তময় ঝর্ণা। আকাশ থেকে নেমে আসা প্রকৃতির জলের ধারা পাথর ঘেঁষে ঘেষে পড়ছে। আপনি চাইলে ১০০ টাকা দিয়ে একটি নৌকা বা ডিঙ্গি নাও ভাড়া করে এ ঝরনার প্রান্তরে যেতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url