শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় এবংশ্বাসকষ্ট হলে ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন.

প্রিয় পাঠক, আপনি কি জানেন শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কি এবং শ্বাসকষ্ট হলে ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে নিতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত কি কিছু জানেন। আপনি যদি এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন শ্বাসকষ্টের লক্ষণ গুলো কি কি, শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়, শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না, এবং শ্বাসকষ্ট হলে ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে নিতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।

তাই আপনি যদি এই সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকেন। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে ফেলুন শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কি এবং শ্বাসকষ্ট হলে ঘরোয়া উপায় চিকিৎসা কি ভাবে নিতে হয়। তো চলুন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।

আপনার যখন শ্বাসকষ্টে সমস্যা দেখা দিবে তখন আপনি যে উপায়গুলো করে খুব সহজে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন। প্রথমে আপনাকে স্থিরভাবে দাঁড়াতে হবে নয়তো স্থিরভাবে দেওয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে বসতে হবে। তারপর আপনাকে বড় বড় নিশ্বাস নিয়ে ভিতরে নিঃশেষ ধরে রাখতে হবে এবং আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস ছেড়ে দিতে হবে। এভাবে কিছু সময় করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার হৃদপিণ্ড স্থির না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে এভাবে নিঃশ্বাস নিতে হবে।

আপনি যখন অনেক সময় ধরে এভাবে নিঃশ্বাস নেওয়া এবং ছাড়বেন। তখন দেখা যাবে আপনার হৃদপিণ্ড নির্লাক্স হয়ে যাবে। এবং আপনি শ্বাসকষ্ট থেকে খুব সহজে মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন। আসলে শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় এগুলোই করতে হয় তাছাড়াও আপনি চাইলে গরম পানির সঙ্গে আদা মিশিয়ে সে পানি আস্তে আস্তে খেতে পারেন।

তাছাড়াও আপনি চাইলে এক টুকরো কাঁচা আদা মুখের ভিতর দিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারে না এতে করে আপনার খুব তাড়াতাড়ি কাজ করবে। কাঁচা আদা যখন আপনি চিবিয়ে খাবেন তখন হয়তো আপনাকে একটু ঝাল বা একটু জাহাজ অনুভক্তি হতে পারে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় এই উপায় গুলো যদি আপনি অবলম্বন করেন তাহলে খুব সহজে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

আমরা অনেকেই আছি শ্বাসকষ্ট হলে কেমন লক্ষণ দেখা দেয় এগুলো জানি না। কিন্তু আমরা আবার অনেকেই আছি জানি কিন্তু সবগুলো নিয়ম জানিনা আমাদের কম বেশি প্রত্যেকের মধ্যেই শ্বাসকষ্ট সমস্যা কমবেশি থেকেই থাকে।

এজন্য আমাদের প্রত্যেককে জানতে হবে শ্বাসকষ্ট হলে শ্বাসকষ্টের লক্ষণ গুলো কেমন হয়ে থাকে এবং কি কি হয়ে থাকে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক শ্বাসকষ্টের লক্ষণ গুলো কি কি সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যায় বাকি লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে সেই সম্পর্কে কিছু নিচে জানানো হলো:

আমরা অনেকেই আছি জানিনা দেখি কারণ আমাদের শরীরে শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়ে থাকে। আবার আমরা অনেকেই আছি জানি কিন্তু সবগুলো উপায় জানি না বা কারণ জানিনা কি কারণেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা আমাদের দেখা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট সমস্যা মানুষের শীতকালে দেখা দিয়ে থাকে। কারন আমরা কম বেশি সকলে জানি আমাদের শরীরে যখন ঠান্ডা লাগে আমাদের হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুস ঠান্ডা হয়ে যায়।

এবং আমরা নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সময় আমাদের শরীরে ভেতর খুব ঠান্ডা নিশ্বাস প্রশ্বাস ঢুকে যার কারণে আমাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়। এর মূলত কারণ হচ্ছে ঠান্ডা আবহাওয়া বা সর্দি কাশি জ্বর এগুলো আমাদের যখন ঠান্ডা লাগে তখন বিশেষ করে কাশি হয়ে থাকে। আমাদের যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তারা যদি একটু লক্ষ্য করি তাহলে বুঝতে পারবো আমাদের কাশি বা শরীরের ঠান্ডা লাগলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়।

সেই সময় সেজন্য আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে। তাদের অতিরিক্ত পানিতে গোসল করা পানিতে ভিজা বা শরীরে ঠান্ডা লাগানো যাবে না। তারা যদি এসব কাজ করে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের শ্বাসকষে সমস্যা বেড়ে যাবে এবং উপরের দেওয়া লক্ষণগুলো তাদের মধ্যে প্রকাশ পাবে। এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অনেক সমস্যা হবে। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কি।

আমরা অনেকেই জানিনা যে শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা। আবার অনেকে জানি তারপরেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে এই সব খাবারই খেয়ে থাকি। তাদের জন্যই আর্টিকেলের এই অংশটি আপনি এই অংশটি পড়লে জানতে পারবেন শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা। এবং আপনি যদি সেই খাবারগুলো খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে কি ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট হলে যে খাবারগুলো খাওয়া যায় না সেগুলো হলো:

চা, কফি,, ধূমপান জাতীয় কোন কিছু, নেশা দ্রব্য, চিকন চাউল, ঘুগনি, ছোলা ডাল, ইত্যাদি প্রকৃতির এই খাবারগুলো খাওয়া যাবে না তাছাড়াও, দুধ কফি ও শুধু কফি হাঁপানি সবচেয়ে অন্যতম লক্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের কাছে। আপনার যদি এই দ্রব্যগুলো খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে আপনাকে ছেড়ে দিতে হবে। নয়তো আপনার খুব অল্প সময়ের মধ্যে শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা দিবে।

আর যাদের বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তারা তো এই জাতীয় খাবার থেকে সব সময় নিজেকে বিরত রাখতে হবে। কারণ তারা যদি এই খাবারগুলো খায় তাদের শ্বাসকষ্ট হঠাৎ বেড়ে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।

আমাদের যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে হঠাৎ হঠাৎ এ শ্বাসকষ্ট সমস্যা বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা জানি না যে এই শ্বাসকষ্টে সমস্যা বেড়ে গেলে কি করে এই শ্বাসকষ্টের সমস্যা ঘরোয়া উপায় ঠিক করতে পারব বা চিকিৎসা করতে পারব। এই নিয়ম গুলো আমরা অনেকেই আছি যে জানিনা সেজন্যে আপনাদের জানাবো যে শ্বাসকষ্ট হলে ঘরোয়া চিকিৎসা উপায়গুলো বা কিভাবে চিকিৎসা নিতে হয় সে সম্পর্কে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

শ্বাসকষ্ট হলে ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে নিতে হয়। তখন আপনার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেবে সব সময় গরম বা মোটা জাতীয় পোশাক পরার চেষ্টা করবেন যাতে করে আপনার শরীরে কোন রকম ঠান্ডা না লাগে। তাছাড়াও আপনি সেই সময় কোন ঠান্ডা পানি খাওয়া যাবেনা আপনাকে কুসুম গরম পানি খেতে হবে এবং পানির সঙ্গে লবঙ্গ আদা এগুলো মিশিয়ে বা টুকরো করে দিয়ে সে পানি পান করতে হবে।

তাছাড়া আপনি চাইলে গরম পানি সঙ্গে আদা মিশিয়ে বা আদার টুকরো মুখে দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন এতে করে আপনার খুব তাড়াতাড়ি কাজ করবে। এবং শ্বাস-প্রশ্বাসেও তেমন সমস্যা দেখা দিবে না। আপনার যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা হঠাৎই বেড়ে যায় তাহলে আপনি প্রথমে এক টুকরো আদা নিয়ে মুখের ভিতর দিয়ে আস্তে আস্তে চিবাইয়ে সে আদা থেকে রস বের করে খেয়ে নেবেন।

তাহলে দেখতে পাবেন আপনি আস্তে আস্তে আরাম পেয়ে যাচ্ছেন এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকেও ধীরে ধীরে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছেন। আসলে ঘরোয়া উপায় এভাবেই শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়।