বরগুনা জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে
বরগুনা জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানুন। যে স্থানগুলো বরগুনা জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ সুন্দর এবং শেষ স্থানগুলো ভমন করতে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসে। আজকের আর্টিকেলটিতে বরগুনা জেলা সেরা ৫টি দর্শনীয় স্থান তুলে ধরা হয়েছে। আপনি চাইলে বরগুনা জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করে আসতে পারেন। এবং এই স্থানগুলো সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বরগুনা জেলার সেরা ৫টি দর্শনীয় স্থান এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরা হয়েছে, আপনি চাইলে স্থানগুলো ভ্রমণ করে দেখতে পারবেন আশা করি আপনার খুব ভালো লাগবে।বরগুনা জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানুন।
পোস্ট সূচিপত্র:বরগুনা জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে নিচে পড়ুন
১) টেংরাগিরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
বরগুনা জেলার তালতলি উপজেলা থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে সোনা কাটা ইউনিয়নে সুন্দরবনের একাংশের বিশাল বনভূমি নিয়ে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য টেংরাগিরি ইকোপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে।টেংরাগিরি ইকোপার্কের পাশে আরেকটি পর্যটন আকর্ষণ সোনা কাটা সমুদ্র সৈকত অবস্থিত।সুন্দরবনের পর এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল।
যা দিনে দুই বার জোয়ার ভাটায় প্লাবিত হয়। লবনাক্ত ও মিষ্টি মাটির অপূর্ব মিশ্রণ এর কারণে এ বনে রয়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির অসংখ্য সারি সারি গাছ, পশু-পাখি ও সরিসৃপ।প্রায় ৪ হাজার ৪৮ হেক্টর জায়গা জুড়ে পূর্ব পশ্চিম এর ৯ কিলোমিটার ও উত্তর দক্ষিণে 8 কিলোমিটার পর্যন্ত টেংরাগিরি বনের বিস্তৃতি।
২) শুভ সন্ধ্যা :
অথৈ সাগরের ঢেউ ও সবুজ ঝাউবনে ঘেরা বরগুনা জেলার তালতলি উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়ন এর নলবুনিয়ায় অবস্থিত এক দৃষ্টিনন্দন সৈকতের নাম শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত। পায়রা,বিষখালি ও বলেশ্বর নদীর মিলন স্থলের বৈচিত্র্য বাড়িয়ে তুলেছে প্রায় ৪ কিলোমিটার লম্বা এলাভূমির শুভ সন্ধ্যা।
সোনা কাটায় ইকোপার্ক সংলগ্ন শুভ সন্ধ্যা মূলত নলবুনিয়া এলাকার একটি চর।তালতলি উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত এর সাগর তীরের মুক্ত বাতাস এবং চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
৩) লাল দিয়া বন ও সমুদ্র সৈকত :
লাল দিয়া বন ও সমুদ্র সৈকত বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণে অবস্থিত।সুন্দরবনের বরগুনার অংশে অবস্থিত হরিণ ঘাটার ভিতর দিয়ে ঘণ্টা দুয়েক পায়ে হেঁটে গেলে লাল দিয়ার বন চোখে পড়ে।লাল দিয়া বনের পূর্ব দিকে বিশখালি এবং পশ্চিম দিক দিয়ে বলেশ্বর নদী বয়ে গেছে।
দুই নদী এবং সাগর এর মহোনায় ঘেরা এ বনের পূর্ব প্রান্তে রয়েছে সমুদ্র সৈকত।আয়তনে ছোটো হলেও এ সমুদ্র সৈকত এর সৌন্দর্য কোনো অংশে কম নয়।লাল দিয়া বনের পাখির কলরব সমুদ্র এর বনের সৌন্দর্য গাংচিল আর লাল কাকরা ছুটে চলা রমনপিয়াশি মনকে প্রকৃতির সাথে একাত্ত করে দেয়।
4)হরিণঘাটা পর্যটক কেন্দ্র
প্রাকৃতিক বন ও সাগরের হাতছানিতে সৌন্দর্যপূর্ণ একটি জায়গা দক্ষিণ বরগুনার অবস্থিত এই হরিণকাটা পর্যটক কেন্দ্র। চেনা অচেনা গাছ ও বন্য প্রাণী তে ঘেরা এই হরিণকাটা পর্যটক কেন্দ্র এটি সুন্দরবনের একটি অংশ। হরিণঘাটা পর্যটক কেন্দ্র পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিষ খালি ও পায়রা নদী বঙ্গোপসাগরের গিয়ে মিশে গেছে।
যান্ত্রিকোলা হলে বাইরে পাখির কিচিরমিচির শব্দে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে তাছাড়া বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারেন যেমন, হরিণ, বাদর, শুকর সহ অন্যান্য বন্য প্রাণীর সঙ্গে। অপরূপ সুন্দরভাবে দেখার জন্যই বনে রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার এছাড়াও এই বনের ভেতরের রাস্তা দিয়ে সমুদ্র পাড়ে গিয়ে সমুদ্র উপভোগ করা যায়। পর্যটকরা মন ঘুরে ঘুরে দেখতে পারেন।
৫)বিবি চিনি মসজিদ
বাংলাদেশে মোগল সরকারের অন্যতম একটি স্থাপিত মসজিদ বিবিচিনি শাহী মসজিদ। বরগুনা জেলার বেতাকে উপজেলায় ইউনিয়নে ছোট্ট টিলার উপর নির্মাণ করা হয়েছে এই বিবিচিনি মসজিদ কে। নানা ধরনের বৃক্ষে ঘেরা এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই বিবিচিনি মসজিদটি উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
হযরত শাহজাল এর কন্যা চিনি বিবি ও ইচ্ছাবির নাম অনুসারে বিবিচিনি গ্রাম ও এ মসজিদটির নামকরণ করা হয়। এই বিবি চিনিস শাহী মসজিদটির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ 33 ফুট এবং দেওয়াল ছয় ফুট চওড়া মোগল সরকারদের তৈরি করা এই মসজিদটি উচ্চতা প্রায় ২৫ ফুট শেষ কথা কে বলে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আমরা এই আর্টিকেলটিতে বরগুনা জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছে। যে জায়গাগুলো বরগুনা জেলার সবচেয়ে সুন্দরতম জায়গা আর যদি আর্টিকেলটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।বরগুনা জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান ছাড়াও আরো অন্যান্য জায়গা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। এই আর্টিকেলটি এতক্ষণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url