ঘনঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি - হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ

প্রিয় পাঠক, ঘনঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি সে সম্পর্কে আর কে আপনি কিছু জানেন। আপনি যদি এই সম্পর্কে কিছু না জেনে থাকেন তাহলে আমরাই আর্টিকেলটিতে জানাবো ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি এবং হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ টা কি অনেক মেয়ে আছে যাদের হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।
ঘন ঘন পিরিয়ড হলে যা করবেন
এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন। ঘনঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি এবং হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত আর্টিকেল থেকে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করা হবে। তাই এই সম্পর্কে জানতে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
পোস্ট সূচীপত্র:ঘনঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি এবং হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে নিচে পড়ুন।

হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ

বেশিরভাগ মহিলাদের মানুষও টেনশনের কারণে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। কারণ অতিরিক্ত টেনশন করার ফলে তাদের ঋতুর চাপ পিছিয়ে যায় যার ফলে হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। আবার তাছাড়াও যখন অতিরিক্ত হরমোন এর মাত্রা উঠানামা করে থাকে। তখনও হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যেয়ে থাকে। তাছাড়া মহিলাদের হাইড সমস্যা থাকার কারণে শরীরের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যার ফলে ও পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকে।

এই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে যদি আপনার বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। যেমন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করা হাত পা নাড়া নারী করা এ ধরনের বিভিন্ন ব্যায়াম করতে হবে যাতে করে আপনার শরীরে হরমোন গুলো জমাট না বাঁধতে পারে। যদি আপনার শরীরে হরমোন গুলো জমাট বেজে যায় তাহলে আপনার রক্তচাপ কমে যাবে।

যার ফলে আপনার হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ কি। এবং হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে তা ঠিক করবেন।

ঘনঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি

ঘন ঘন মাসের হওয়ার কারণ হচ্ছে আমরা যখন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাই সেই ছবিতে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ফলে তাছাড়াও প্যাকেট জাতীয় খাবার, তেল চৌবড়ী ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে এসব সমস্যা দেখা দেয় তাছাড়াও আমরা যখন অতিরিক্ত সময় ধরে ঘুমায় না তখন শরীর দুর্বল থাকার ফলে এই সমস্যাটা দেখা দিয়ে থাকে। অল্প বয়সী মেয়েদের নিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ হচ্ছে পলিস্টিক ওভারি ডিজিজ।

এই রোগটা যেসব মেয়েদের শরীরে আসে সেসব মেয়েদের শরীরের ডিম্বানু গুলো ছোট ছোট নালার মধ্যে দিয়ে বের হয়ে যায়। সাধারণত এই রোগটা যে বয়সী মেয়েদের হয়ে থাকে ১৫ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত। এ রোগটির মূল কারণ হচ্ছে রক্তে প্রচুর পরিমাণে এন্ড্রোজেনের পুরুষ হরমোন এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে। অল্প বয়সে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে গিয়ে থাকে যার কারণে আমাদের শরীর পুরোটা মোটা হয়ে যায় এবং পেট বড় হয়ে যায়।

যার ফলে অনিয়মিত ঘন ঘন মাসিক হয়। সাধারণত অনেক মেয়েরা এই সমস্যার গুরুত্ব দেয় না। বিশেষ করে কিশোর কিশোরী বা তরুন তরুনীরা অনিয়মিত ঘন ঘন মাসিকের শিকার হয়ে থাকে। এই রোগটা যদি আপনার ঘনঘন হয়ে থাকে এর কোন চিকিৎসার দরকার নেই বা অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

এই রোগটা আপনার বিয়ের পর অবশ্যই ঠিক হয়ে যাবে। আবার তাও ঠিকও না অনেক সময় বিয়ের পরেও ঠিক হয় না এ রোগটা আস্তে আস্তে বন্ধুত্বের মতো বিশেষ একটি সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। তাই আপনার ঘন ঘন মাসিক সমস্যা দেখা দিলে অবশ্য সাথে সাথে ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।

যে ৫টি কারণে মাসিক দেরিতে হয়

তরুণ তরুণী এবং নারী যেকোনো বয়সে মেয়েদের ২৮ দিন পর পর পিরিয়ড হয়ে থাকে। ২৫ থেকে ৩৭ দিনের আগে বা পরে তিন থেকে সাত দিন পিরিয়ড স্থায়ী থাকলে সেটি অনিয়মিত ঋতুস্রাব। যে পাঁচটি কারণে মাসিক দেরিতে হয়। ও যে পাঁচটি কারনে আপনার অনিয়মিত ঋতুস্রাব হচ্ছে তার কারণ সম্পর্কে জেনে নিচে থেকে।
  1. অতিরিক্ত মানসিক চাপ:পিরিয়ড দেরিতে হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মানসিক চাপ। কারণ অতিরিক্ত মানুষের চা হয়ে থাকার ফলে হাইপোথ্যালামিক এমোনিয়া হতে পারে। ফলে হর মনের স্বাভাবিক কার্যকাণ্ড ব্যাঘাত ঘটে যার ফলে মাসিক দেরিতে হয়।
  2. অতিরিক্ত ভ্রমণ: আমরা কম বেশি সকলে জানি মেয়েদের শরীর যে কোন আবহাওয়া বা ঋতুর সাথে খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত ভ্রমণ বা ঘোরাঘুরি করে থাকেন। তবে আপনার সময় পরিবর্তন হয়ে মাসিক দেরিতে হতে পারে।
  3. পলিসিটিক্স ওভারি সিনড্রোম: এটি একটি মানুষের হরমোন জনিত রোগ। অতিরিক্ত জন্ম নিমন্ত্র ণ করার ওষুধ সেবন করলে এ রোগটি হতে পারে। এছাড়াও কিছু জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ আছে যার স্পর্শে প্রক্রিয়া করলে পলিসিটিস ওভারি সিনড্রোম হয়। বা ঘনঘন আমরা যদি বাচ্চা না হওয়ার ওষুধ বা পিল খাই তাহলে মাসিকের সমস্যা হতে পারে।
  4. অধিক ওজন বা কম ওজন: অনেক সময় আমাদের দেহের ওজন বেশি হওয়ার কারণে মাসিক হতে অনেক লেট হয়ে যায়। আবার অনেক সময় যদি শরীরের ওজন কম হয়ে যায় সে ক্ষেত্রেও মাসিক হতে সমস্যা হতে পারে।
  5. থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: থাইরয়েড গ্লাস আমাদের মেটা বডিজম নিয়ন্ত্রিত রাখে পাশাপাশি দেহের কার্যক্ষমতা পরিচর্যার কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আপনার শরীরের য়েড থাইরয়েড লেসনের যেকোনো সমস্যার কারণে ও নিয়মিত মাসিক হতে পারে। 

পিরিয়ড না হলে কি খাওয়া উচিত

অনেকদিন যাবত যদি আপনার পিরিয়ড না হয়ে থাকে চেয়ে খাবার গুলো খেলে আপনার পিরিয়ড হবে সেই খাবার গুলো সম্পর্কে আর্টিকেলটির এই অংশটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি জানতে চান না হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এই অংশটি ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে জানতে পারবেন না পিরিয়ড না হলে কি খাওয়া উচিত তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

যেমন: আমাদের শরীরে যখন আয়রনের কমে যায় তখন আমাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় সেজন্য আপনাকে আয়রন বৃদ্ধির জন্য যে খাবার গুলো খেতে হবে। মাংস, মাছ, কলিজা, ডিম, ডাটা শাক, পুঁইশাক, কচু শাক, আমরা, পাকা তেতুল, খেজুর, ইত্যাদি এসব খাবার খেতে পারেন। এক কথা বলতে গেলে যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকে বা তেলযুক্ত খাবার সেই খাবার গুলো অবশ্যই আপনাকে খেতে হবে।

যখন মেয়েদের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি ঘটে তখন মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়।আয়রনের ঘাটতি ঘটলে মেয়েদের শরীরে পানি শূন্যতার রগ দেখা দিতে পারে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই শসা, তরমুজ, অ্যাপেল, পাইনাপেল, এসব জাতীয় ফল খেতে হবে যার ফলে আপনার পানি শূন্যতা কেটে যায়। এসব খাবার খারাপ হলেও প্রচুর পরিমাণে আয়রনের সমস্যা দ্বিঘাত ঘটে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন পিরিয়ড না হলে কি খাবার খাওয়া উচিত।

বন্ধ মাসিক চালু করার উপায়

পিরিয়ড প্রতিটি নারীর কাছে খুবই একটি পরিচিত শব্দ। যা প্রত্যেকটা নারী হয়ে থাকে তবে অনেক সময় দেখা যায় নারীদের পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে অনেক সময় দেখা যায় পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় মেয়েদের শরীরের আয়রনের অভাবে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। তাই আপনার যদি কোন সময় মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার শরীরে আয়রন বা হরমোনের ঘাটতি রয়েছে। যে এটাকে আপনার খুব তাড়াতাড়ি পূরণ করতে হবে।

যতদিন আয়রন বা ভিটামিন, হরমোন, এই কয়েকটি জিনিসের ঘাটতি থাকবে ততদিন পর্যন্ত আপনার মাসিক বন্ধ থাকবে। তাই সমস্যা গুলো দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অবশ্যই আপনাকে আয়রনের ভরি খেতে হবে। এবং তেল যত জিনিস খেতে হবে যাতে করে আপনার খুব তাড়াতাড়ি হরমোন বৃদ্ধি পায়। আমরা সকলে জানি ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে তেল বাড়ে এ কারণে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের বন্ধ মাসিক চালু হয়ে যাবে।

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এই সমস্যা গুলি দেখা দিলে আপনাকে কিভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে আপনার যদি এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেতে হবে। যাতে করে আপনার শরীরের খুব তাড়াতাড়ি আয়রন বেড়ে যায়। আর যখনই আপনার শরীরের আয়রন বেড়ে যাবে তখনই এই সমস্যাগুলি থেকে আপনি খুব সহজে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url