গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন - গর্ভ অবস্থায় শেষ তিন মাসের সতর্কতা
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো গর্ভবতী মহিলাদের বমি হলে কি করবেন। এখন আপনাদের সঙ্গে এ বিষয়টি আলোচনা করতে যাচ্ছি তাই এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। তাই আপনার বাসায় যদি একদিন গর্ভবতী মহিলা থেকে থাকে তার জন্যই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। আর প্রতিটা মানুষের জানা দরকার গর্ভবতী মহিলাদের বমি হলে কি করতে হবে। যে বিষয়গুলো জানলে আপনি নিজে নিজেই আপনার চিকিৎসা করতে পারবেন।
গর্ভবতী মহিলাদের বমি হলে কি করবেন এই বিষয়টি জানতে হলেই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তো চলুন শুরু করা যাক গর্ভবতী মহিলাদের বমি হলে কি করবেন এ বিষয়টি বিস্তারিত হবে জেনে নি।
পোস্ট সূচিপত্র:গর্ভবতী মহিলাদের বমি হলে কি করবেন
গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়
সাধারণত একজন মহিলার মাসিক বন্ধের পর থেকেই ৮০ থেকে ৮৫% মহিলাদের বমি শুরু হয়। আবার পাঁচ ছয় সপ্তাহ হলেও বমি দেখা দেয় রুচি কমে যায়, মাথা ঘুরে, শরীর দুর্বল লাগে, খাবারের গন্ধ লাগে ইত্যাদি। গর্ভধারণ অবস্থায় যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বমি শুরু হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এবং প্রয়োজন হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শরীরে স্যালাইন দিতে হবে।
যদি আপনার বমি শুরু হয় তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এ পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে খুব সহজে বমি ভালো করতে পারবেন। এবং শরীরে স্যালাইন করার কারণে আপনার খাওয়ার রুচিও বেড়ে যাবে এবং আপনি ও আপনার বাচ্চা দুজনে খুব সুস্থ থাকবেন।গর্ভবতী মহিলাদের ডেট পার হওয়ার পর থেকেই ডেলিভারি পর্যন্ত বমির সম্ভাবনা লেগে থাকে।
গর্ভবতী মহিলাদের বমি হলে কি করবেন
গর্ভবতী মহিলাদের বমি হলে কি করবেন, গর্ভবতী মেয়েরা প্রায় ৭০ ভাগে বমি করে থাকে এবং খাবার রুচি ও ক্লান্তি শরীর লেগেই থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের যখন শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। তখন বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে থাকে। গর্ভ অবস্থায় হরমোন সমস্যা কারণে গর্ভে বাচ্চার সুস্থতা এবং বিভিন্ন সমস্যা ঘটতে পারে। যাতে করে গর্ভবতী থাকাকালীন আপনার বাচ্চার কোন ধরনের সমস্যা না দেখা দেয়।
সেজন্য সকাল ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিছানা থেকে না উঠে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিছানায় শুয়ে হালকা হবে ব্যায়াম করুন। এবং সকালের নাস্তা তে কিছু হালকা খাবার খেতে হবে যেমন মুড়ি, চিড়া, চা, ডাইকেক ইত্যাদি। এই খাবারগুলো খাওয়ার পর আপনি চাইলে স্বাভাবিক খাবারগুলো খেতে পারেন। গর্ভবতী মহিলাদের বমি করার কারণ হলো অতিরিক্ত তেলচগ্রী যুক্ত খাবার ঝাল মসলাযুক্ত খাবার টক জাতীয় খাবার এগুলো খাওয়া জন্য এই বমি টা হয়ে থাকে এবং এই খাবারগুলো বমি সৃষ্টি করে।
আপনি যে খাবার খান না কেন খাওয়ার আগে বা পরে বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া যাবে না।। অতিরিক্ত সেন্ট আলা বা গন্ধযুক্ত খাবার ও খাওয়া যাবে না। আবার একসঙ্গে বেশি পরিমাণও খাবার খাওয়া যাবে না আপনি চাইলে দু ঘন্টা পর পর খাবার খেতে পারেন। দিন এবং রাতে দু ঘন্টা করে বেশি ঘুমাতে হবে অর্থাৎ শরীরকে প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম দিতে হবে। আপনার যদি বমি বমি ভাব হয় তাহলে আদা কুচি বা লেবু পাতা তাছাড়াও লেবুর শরবত করে খেতে পারেন।
গর্ভবতী হওয়ার এক সপ্তাহের লক্ষণ
গর্ভবতী হওয়ার প্রথম শব্দের লক্ষণ বিশেষভাবে পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে শেষ ৪০ সপ্তাহ গর্ভধারণের সময় হয়ে থাকেন। প্রথম সপ্তাহের দিন থেকেও কেউ গর্ভধারণ করছে এটা বলা যায় না কারণ গর্ভধারণ সময় দুই সপ্তাহ পর তিন সপ্তাহ পর বোঝা যায়। গর্ভবতী না হলেও একসময় একজন নারী গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। কন্ত্রিপশন এর প্রথম সপ্তাহে গর্ভধারণের তেমন কোন লক্ষণ বোঝা যায় না।কারণ সেই সময় গর্ভধারণের কোন ধরনেরই প্রক্রিয়া কাজ করে।
না বা দেখা দেয় না। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে মাথা ঘোরায়, শরীর দুর্বল হয়ে যায়, ঘন ঘন পেশাব লাগে স্তনের বোটা শক্ত হয়, তখন ফুলে যায় ও ভারী ঘুম আসার সম্ভাবনা থাকে, খাবারে গন্ধ গন্ধ লাগে এসব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে।আর্টিকেলটি এই অংশ পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে গর্ভবতী হওয়ার এক সপ্তাহের লক্ষণ কেমন হয়ে থাকে। আশা করি এ লক্ষণ গুলো কারো মাঝে দেখা দিলে বুঝে নিবেন সে গর্ভধারণ করেছে।
গর্ভ অবস্থায় শেষ তিন মাসের সর্তকতা
গর্ভাবস্থায় শেষ তিন মাসের সতর্কতা গর্ভস্থায় একটি মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এবং এই শেষ তিন মাস মাকে খুবই ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয় এবং একটু সাবধানতা বজায় রাখতে হবে। ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে শরীরের ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে না কমে যায়। বাচ্চা ও বাচ্চার সুস্থতা এবং প্রসাব ের ব্যথা নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
এবং বাচ্চার জন্য বিভিন্ন সামগ্রিক এনে রাখতে হবে যেমন, গামছা, তোয়ালে, ডাইপার, সাবান ইত্যাদি। কোমল তেল, এবং বাচ্চার ধ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যাগে করে হাসপাতাল নিয়ে যেয়ে রাখতে হবে। এবং 6 থেকে সাত মাসে গর্ভ অবস্থায় পেটে ব্যথা যাতে না লাগে বা ভারি কোন জিনিস জাগানো যাবে না। প্রয়োজন পরিমাণে সবসময় খাবার খেতে হবে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা। ঘুমের সময় শরীরে কম্বল দিয়ে ঘুমাতে হবে।
অতিরিক্ত টেনশন এবং পরিশ্রমও করা যাবে না। ব্যায়াম, ফলমূল, একটু হাঁটাহাঁটি, খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতন, মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে চেকআপ করতে যাওয়া সব কিছু এগুলো মেন্টেন করে চলতে হবে।
শেষ কথা
গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন এবং গর্ভ অবস্থায় শেষ তিন মাসের সর্তকতা সম্পর্কে বিস্তারিত এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনি আপনার বাচ্চাকে সুস্থ সবল রাখতে পারবেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি একজন মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। এবং এটাও আশা করা যায় আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এই ধরনের সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি রেগুলার ভিজিট করুন।
সম্পর্কে জানুন
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url