কক্সবাজার জেলার ৫০টি দর্শনীয় স্থান এবংকক্সবাজার ভ্রমণ এর উপযুক্ত সময়
কক্সবাজারের ভালো মানের ৮টি হোটেল সম্পর্কে জানুনপ্রিয় পাঠক, আমরা কম বেশি সকলে কক্সবাজার ঘুরতে যেতে চাই কিন্তু আমরা কক্সবাজার সম্পর্কে তেমন ভালো কিছু জানি না তাই ঘুরতে যাওয়ার আগে কক্সবাজার সম্পর্কে জেনে নেয়া উচিত। বাংলাদেশের মধ্যে কক্সবাজার একটি সর্বোচ্চ সুন্দর জেলা এবং পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত। কিন্তু অনেকেরই কক্সবাজারে বিখ্যাত স্থান সম্পর্কে ধারণা নেই। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি পারেন তাহলে জানতে পারবেন কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে জনবস্থান সম্পর্কে
চলুন দেরি না করে তাড়াতাড়ি কক্সবাজারে জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি কক্সবাজার জেলার৫০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করতে হবে।
সূচিপত্রঃকক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান - কক্সবাজার জেলার ৫০টি দর্শনীয় স্থান
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান
প্রতিবছর কক্সবাজারে বাংলাদেশ থেকে এবং বাহিরের দেশ থেকে অনেক পর্যটক রায় কক্সবাজার ঘুরতে আসে। কারণ কক্সবাজার জেলা খুবই সুন্দর এবং বিখ্যাত কারণ কক্সবাজার জেলায় রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ সমুদ্র সৈকত। কিন্তু আমরা কক্সবাজার জেলা সম্পর্কে তেমন কোন ধারনাই নেই। কারন আমরা অনেকেই করতে যেতে চাই যদি এই বিষয় সম্পর্কে না জানি তাহলে গুরুত্ব বিনোদন বা মজা পাওয়া যাবে না। তাই ঘুরতে যাওয়ার আগেই কক্সবাজার সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন।
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানঃ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত - কক্সবাজার হল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বালুচর এবং বৃহৎ সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গেলে আপনি দেখতে পাবেন শুধু ঝিকমিকে ভালো যেটাই দেখতে খুবই সুন্দর। এই কথাটা সমুদ্র সৈকতে রয়েছে থাকা এবং খাওয়ার জন্য খুবই সুন্দর হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট এটা পর্যটকদের জন্য খুবই জনপ্রিয়। যেখানে দেশ এবং দেশের বাহির থেকে বিভিন্ন পর্যটকরা এসে থাকা এবং খাওয়া-দাওয়া করে।
কক্সবাজার কলাতলী বিচ -কক্সবাজার যারা ঘুরতে যাই কক্সবাজার মতই একটি জনজ স্থান বা ও প্রাকৃতিক জায়গা হল কক্সবাজার কলাতলী বিচ। এটি হলো কক্সবাজার বিচের একটি সাইট বা জিরো পয়েন্ট বলা হয়। পর্যটক রা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ঘুরতে গিয়ে কক্সবাজার কলাতলী বিচে ঘুরতে আসেন। কারণ এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বেশি।
কক্সবাজার লাবনী বিচ -কক্সবাজারের একটি পুরাতন পয়েন্ট হচ্ছে লাবনী পয়েন্ট বা বিচ নামে পরিচিত। কক্সবাজার লাবনী বিচ কক্সবাজারের কলাতলীতে অবস্থিত। যারা দেশ থেকে এবং বাহিরের দেশ থেকে সমুদ্র সৈকত দেখতে আসেন তারা কক্সবাজার লাবনী বীচে ছুটে যায়। কক্সবাজারে সবচেয়ে নিকটতম বীজ হচ্ছে লাবনী বিচ।
হিমছড়ি -কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ১৩ কিলো দক্ষিনে অবস্থিত হিমছড়ি সমুদ্র সৈকত বা পর্যটন কেন্দ্র। পাহাড়ের পথ দিয়ে বয়ে চলেছে হিমছড়ি সমুদ্র সৈকত। যেসব পর্যটকরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ঘুরতে যায় তারা সাধারণত হিমছড়ি পর্যটক কেন্দ্রে বা পর্যটক এরিয়ায় ঘুরতে যাই। কারণ হিমছড়ি পর্যটক কেন্দ্র দেখতে খুবই সুন্দর তাই কেউ একে মিস করতে চায় না।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ -যারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ঘুরতে যান তাদের জন্য একটি সুন্দর পর্যটক কেন্দ্র হল সেন্টমার্টিন দ্বীপ। বাংলাদেশের দক্ষিণ উত্তর অঞ্চলে একটি প্রবল দ্বীপ হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ। এই দিনটি টেকনাফ থেকে প্রায় ১০ কিলো দক্ষিণে এবং মায়ানমার থেকে ৮ কিলো পশ্চিমে অবস্থিত। যা কক্সবাজার জেলা হিসেবে পরিচিত।
কক্সবাজার ইনানী বিচ -ইনানী বীজ হলো হিমছড়ি সমুদ্র সৈকত থেকে আরো পাঁচ কিলো দূরে অবস্থিত। ইনানী পর্যটন কেন্দ্রের যে কারণটা বিশেষ এটি হলো প্রবল প্রাচীন দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। দেখতে অনেকটা সেন্টমার্টিন দ্বীপের মতোই কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনেক ঢেউ থাকে। কিন্তু কক্সবাজার ইনানী বিচে কোন বড় ঢেউ থাকে না।
কক্সবাজার ভ্রমণ এর উপযুক্ত সময়
অনেকেই আছেন যারা এখনো কক্সবাজারে ভ্রমণ করেননি তাই কক্সবাজার বীচে ঘোড়া তেমন আকর্ষণীয় সময় জানেন না। আপনি যদি গরম শিকার মাঝামাঝি সময়ে কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে সবচেয়ে বেশি বেশি বিনোদন পাবেন। তাই যারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন তাদেরকে এই উপযুক্ত সময়টা বেছে নেওয়া উচিত। কারণ এই সময়টাতে গেলে অনেক মজা করা যায় বা আনন্দ করা যায়।
আপনি যদি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বলব সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ঘোরাটাই খুবই সুন্দর বা আকর্ষণীয় হয়। বিভিন্ন পর্যটক এবং বিভিন্ন জায়গায় রিচার্জ করার পর দেখা গিয়েছে যে এই সময়টাকে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
কারণে সময়টাতে রোদের তেমন একটা তাপ থাকে না যে কারণে আপনি খুব সহজে আরামে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকারটাকে উপভোগ করতে পারবেন।কারণ এই সময়টাতে সমুদ্র অনেক স্তব্ধ থাকে এবং হালকা বাতাস শীত পড়ে থাকে। যারা বিপুল পরিমাণে সমুদ্র সৈক ত প্রেমিকা আছেন তারা এই সময়টাতে সমুদ্র সৈকতে ভিড় করে থাকেন।
এই সময়টাতে পর্যটক সমুদ্র সৈকতে বেশি থাকে তাই হোটেলে তেমন একটা জায়গা থাকে না তাই আমাদের পতিতা স্টেপে একটু টাকা বেশি খরচ হয়ে থাকে। আবার আপনি যদি এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে সমুদ্র সৈকতে যান তাহলে আপনার তেমন মানুষের সমাগমে পড়তে হবে না কারণ এই সময়টাতে তেমন কেউ সমুদ্র সৈকত ভিজিট করে না বা দেখতে আসে না।
কক্সবাজার জেলার ৫০টি দর্শনীয় স্থান
১। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
২। মহেশখালী দ্বীপ
৩। সেন্টমার্টিন দ্বীপ
৪। ইনানী সমুদ্র সৈকত
৫। হিমছড়ি
৬। ছেঁড়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন
৭। লাবনী বিচ
৮। কালাতলী বিচ
৯। কুদুম গুহা
১০। শ্রীশ্রী রামকূট বৌদ্ধ বিহার
১১। লামার পাড়া বৌদ্ধবিহার
১২। রামকোট বৌদ্ধবিহার
১৩। প্রবাল দ্বীপ সেন মার্টিন
১৪। মেরিন ড্রাইভ রোড
১৫। ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
১৬। দরিয়া নগর
১৭। কুতুবদিয়া দ্বীপ
১৮। আদিনাথ মন্দির
১৯। রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট
২০। রামু বৌদ্ধবিহার
২১। শামলাপুর সমুদ্র সৈকত
২২। মারমেইড বিচ রিসোর্ট
২৩। ইনানী রয়েল রিসোর্ট
২৪। মাথিনের কূপ
২৫। নিভূতে নিসর্গ পার্ক
২৬। লামাপাড়া খিয়াং
২৭। রামু রাবার বাগান
২৮। সোনাদিয়া দ্বীপ
২৯। রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড
৩০। শাহপরীর দ্বীপ
৩১। লবণ উৎপাদন এলাকা
৩২। কানা রাজার গুহা
৩৩। আইসোলেটেড নারিকেল বাগান
৩৪। রামকোট বৌদ্ধ বিহার
৩৫। শ্রী শ্রী রামকূট তীর্থধাম
৩৬। সবরাং ট্যুরিজম পার্ক
৩৭। নাফ ট্যুরিজম পার্ক
৩৮। মথিনের কূপ
৩৯। টেকনাফ সমুদ্র সৈকত
৪০। শ্যামলাপুর সমুদ্র সৈকত
৪১। দরিয়া নগর সমুদ্র সৈকত
৪২। দরিয়া নগর সী ভিউপার্ক
৪৩। ১০০ ফুট বদ্ধ মূর্তি
৪৪। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম
৪৫। কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত
৪৬। কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
৪৭। কুতুবদিয়া বাতিঘর
৪৮। বড় রাখাইনপাড়া বৌদ্ধমন্দির
৪৯। সুগন্ধা বিচ
৫০। ঝিনুক মার্কেট
কক্সবাজার জেলার ইতিহাস
আমরা ইতিমধ্যে উপরে অনেক কিছু জেনেছি। বাংলাদেশে মোট ৬৪ টি জেলা রয়েছে ৬৪ টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরতম জেলা হল কক্সবাজার জেলা। প্রায় বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই কক্সবাজার জেলার নাম শুনেছেন বা চিনে থাকেন। কারণ এখানে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ বালকোময় সমুদ্র সৈকত। কিন্তু আমরা অনেকে কক্সবাজার জেলার ইতিহাস সম্পর্কে জানি না।
কক্সবাজার জেলা হলো বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অবস্থিত একটি প্রাকৃতময় বা সৌন্দর্য সমুদ্র সমুদ্র সৈকত একটি জেলা। কক্সবাজার জেলা হল বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা পর্যটক কেন্দ্র। এবং এই জেলাটি চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে অবস্থিত। কক্সবাজার জেলায় রয়েছে ১৩০ দৈর্ঘ্য এবং এক বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। মোগো লাগলে অধিগ্রহণ এর আগে কক্সবাজার জেলা সহ চট্টগ্রামের এক বিশাল অংশ আরাকান নামক এক রাজর অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পরবর্তীতে আরাকান নামক সম্রাটটি যাওয়ার পরে। কক্সবাজারে সৌন্দর্য আরো মুগ্ধ হয়ে ওঠে এবং কক্সবাজার জেলাতে ক্যাম্প স্থাপন করা নিষেধ ছিল। মোগল সাম্রাজ্যের পরে ত্রিপুরা এবং আরকান এবং তারপরে ব্রিটিশরা এই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। কক্সবাজার জেলার নামটি করা হয়েছিলেন একজনব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসার ক্যাপ্টেন হিমা কক্স এর নাম থেকে।
কক্সবাজার জেলার পূর্বের নাম ছিল পালং কিযখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা শাসন করতে শুরু করে। তখন বাংলাদেশের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হয় ওয়ারেন্ট হোল্ডিং এবং হিরাম কক্স হয়েছিলেন কক্সবাজার জেলার মহাপরিচালক। ক্যাপ্টেন কক্স আরকান স্মরণিত এবং স্থানীয় রাখাইনদের মধ্যে পুরাতন ঝামেলা এবং মারামারি মেটানোর চেষ্টা করেন।
সাধারণত তিনি মারা যাওয়ার পরে সেই জায়গাতে একটি বাজার স্থাপন করা হয়। সে বাধা টির নাম হল কক্স সাহেব বাজার নামে পরিচিত পরে সেখান থেকে কক্সবাজার নামকরণ করা হয়। আশা করি জেলাটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পেয়েছেন।
শেষ কথাঃ কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান - কক্সবাজার জেলার ৫০টি দর্শনীয় স্থান
প্রিয় পাঠকগণকক্সবাজার জেলার ৫০টি দর্শনীয় স্থান এবংকক্সবাজার ভ্রমণ এর উপযুক্ত সময় আরো কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান, কক্সবাজার জেলার ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কক্সবাজার যাওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এটি বরাবর আপনাকে কি করতে হবে এবং কিভাবে যেতে হবে।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে বা তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন বা ফলো করুন। কারন আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম তথ্যসম্পন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি।
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url