শীতকালে শিশুদের জন্য ১২ টি পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জানুন
শিশুদের শরীরের জন্য পুষ্টিকের খাবার গুলোর মধ্যে শীতকালে শিশুদের 12 টি খাবার সম্পর্কে আমরা জানবো। শীতকালে শিশুদের যত্নের বারটি খাবার সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে শুধু এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কারণ শিশুদের শীতকালে যত্নের এবং পুষ্টিকর ১২ টি খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছে আজকের আর্টিকেলটিতে।
তাহলে চলুন শীতকালে শিশুদের জন্য বারটি পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জানি। যেগুলো খাওয়ার পরে শিশুদের বৃদ্ধির এবং মানুষের ভাবে বিকাশ অনেক বেড়ে যাবে। তাহলে শীতকালে শিশুদের জন্য পুষ্টিকর ১২ টি খাবার সম্পর্কে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র:শীতে শিশুদের ১২ টি ভিটামিন যুক্ত খাবার এর নাম সম্পর্কে নিচে পরুন
শীতে শিশুদের যত্নের ১২টি খাবার
শীতকালে শিশুদেরও অনেক প্রকার ভিটামিনযুক্ত খাবারের প্রয়োজন হয়। যদি সেই খাবারগুলো শিশুদেরকে না খাওয়ানো হয় তাহলে শিশুদের বৃদ্ধির বিকাশ ঘটে না। সেজন্য শীতকালে শিশুদেরকে 12 টি পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। যেগুলো খাওয়ার পরে শিশুদের প্রচন্ড পরিমাণে বৃদ্ধির বিকাশ ঘটবে। তাই জেনে নিয়ে শীতে কোন খাবারগুলো বাচ্চাদের দিতে হবে। শীতকালে শিশুদের জন্য বারোটি খাওয়া সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো
- শীতকালে শিশুদেরকে বেশি বেশি গুয়োর খাওয়াতে হবে। তাছাড়া যদি শীতকালে শিশুদের সর্দি কাশির মতো কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে গুড়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে বাচ্চাদের খাইয়ে দিতে পারেন।
- আমলকি আমলকিতে প্রচন্ড পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। আর ভিটামিন সি শীতকালে খাবার তালিকা দের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে একটি ভিটামিন সি খেলে শিশুদের রক্ত পরিষ্কার থাকে।
- শীতকালে খেজুর খেলে অনেক উপকারী হয়। খেজুর শুধু শিশুদের জন্যই নয খেতে সব ধরনের মানসী খেতে পারবে খেজুরে প্রচন্ড পরিমাণে ভিটামিন থাকে যেটা শরীর প্রচন্ড পরিমাণে ক্যালানে জোগাতে সাহায্য করে।
- শিশুদের যত্নের বারোটি খাবারের মধ্যে রয়েছে মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলুতে রয়েছে বিটা ক্যালরি টিন ভিটামিন এ। আর ভিটামিন এ যুক্ত খাবার শরীরে জন্য খুবই জরুরী। ভিটামিন এ যুক্ত খাবার অনেক সুস্বাদু হয় এজন্য শিশুরা খেতে অনেক পছন্দ করে
- শীতকালে শিশুদের পালং শাক লাল শাক এই শাকগুলো শিশুদের অনেক ভিটামিন জগতে সাহায্য করে এছাড়াও রয়েছে লালসার কলমি শাক মেথি শাক ইত্যাদি ইত্যাদি। শীতকালে মৌসুমে শাক-সবজি শিশুদের বেশি বেশি খাওয়াতে হবে।
- শীতকালে শিশুদের শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাবার হচ্ছে ডিম। ডিম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি যে সালফেট যা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।
- তাছাড়াও শিশুদের শীতকালে গরম দুধ খাওয়ালে সবসময় শরীর গরম থাকে এখানে শীতকালে শিশুদের বেশি বেশি গরম দুধ খাওয়াতে হবে।
- তাছাড়া সব সময় শীতকালে শিশুদের বেশি বেশি ভিটামিনযুক্ত ওষুধ খাওয়াতে হবে যাতে করে শিশুদের কোন ভিটামিনের কমতি না হয়।
- শীতকালে শিশুদের বেশি বেশি মধু খাওয়াতে হবে। যাতে করে শীতকালে শিশুদের বেশি বেশি মধু খাওয়ানোর ফলে শরীরে রক্ত গরম থাকবে এবং শীত ও কম লাগবে।
- শীতকালে শিশুদের সব সময় ঠান্ডা জ্বর কাশি সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি রাখতে সব সময় শিশুদের কুসুম গরম পানি খাওয়াতে হবে এতে করে শিশুদের ঠান্ডা লাগবে না।
- এবং শিশুদের গোসলের সময় সব সময় শিশুদের গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে এবং শীতকালে পুরো সময় ধরে বিভিন্ন রকম ভাইরাসজনিত সাবান এবং ব্যবহার করতে হবে।
ছয় মাসের শিশুদের বিকাশ
এই সময় শিশুদের মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশ ঘটে। তাই এই সময় শিশুদের সাথে কথা বলারও সময় কাটানোর বাচ্চা নানা ধরনের কথা শিখাতেও আমরা সাহায্য করি। তাই এই সময় আমার আমরা আমাদের সন্তানের বেশি বেশি সময় কাটাতে পাশে থাকবো। আপনার বাচ্চা এই সময় কি শিখছে তার ক্রিয়া গুলো একটু ভালোভাবে খেয়াল করবেন। আর এটি একটি বিশেষ করে খেয়াল রাখবেন যে আপনার ছয় মাসের শিশুর বিকাশ ঘটছে কিনা। ছয় মাসের শিশুদের কি কি বিকাশ ঘটে সে সম্পর্কে জানা যাক
- নিজের নাম শুনলে সারা দিবে
- শিশুরা এই সময়ে তার পরিচিত মানুষের মুখ গুলো চিনে রাখে
- আমাগোড়ি দিয়ে হাঁটতে পারে এবং দাঁড়ানোর চেষ্টা করে থাকে
- এবং হেলান দিয়ে বসতেও পারে
- এই সময় সে স্বরাজে কোন কিছু দেখার কৌতূহল প্রকাশ করে থাকে। যেমন তার সামনে কোন খেলনা নিয়ে আসলে সেটা নেওয়ার জন্য পাশের কাছে যাওয়ার জন্য লাফালাফি করে থাকে।
সাত থেকে আট মাসের শিশুদের খাবার তালিকা
সাত মাসের খাবার তো তালিকা তৈরি করাতে একজন মাকে বিশেষ করে ভূমিকা পালন করতে হয়। প্রয়োজনের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর সাত মাসের শিশুদের খাবার তালিকা তৈরি করে থাকে। কারণ এই সময় বাচ্চাদের বা শিশুদের দ্রুত বৃদ্ধির বিকাশ ঘটে। তাই এই সময়ে বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম পুষ্টিকর খাবার দেওয়া খুবই জরুরী। তো চলুন এবার জেনে নেই সাত মাসের শিশুদের কি ধরনের পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।
- সবজি: সবজির মধ্যে রয়েছে মিষ্টি আলু,চাল কুমড়া,বাতাবি লেবু,গাজর,টমেটো,লাউ,বাতাবি লেবু,পালং শাক,লাল শাক,ইত্যাদি টাইপের খাবার শিশুদের বেশি বেশি খাওয়াতে হবে।
- ভাত: সাত মাসের শিশুদের খাবার তালিকার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে ভাত। বাচ্চাদের সবজি অথবা মাছের সঙ্গে নরম করে ভাত মাখিয়ে খাওয়াতে হবে।
- ডাল: ডালের মধ্যে রয়েছে মুগ ডাল, খেসারি ডাল, মুসুরি ডাল, এবং ডালের পানীয় শিশুদের জন্য খুবই উপকারী
- ফলমূল: ফলমূলের মধ্যে রয়েছে আঙ্গুর, আপেল, কমলা, বেঁধে না, খেজুর, আম, তরমুজ, পেঁপে, টবেরি, ইত্যাদি
- চিরে: শুধু বাচ্চারা নয় বড়দের জন্য খুব উপকারী খাবার হচ্ছে চিরে। যখন কোন মানুষ বা ছোট বাচ্চাদের পেটের সমস্যা হয় তখন তাদের চিরে খাওয়াতে হবে। কারণ চিরে পেটকে ঠান্ডা রাখতে অনেক সাহায্য করে। তাই যদি আপনার শিশুদের কোন সময় পেটের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি চিড়ে খাওয়াতে পারেন।
- মুড়ি: 6 থেকে 7 মাসের বাচ্চাদের কোন সময় মুড়ি খাওয়ানো যাবে না। যদি মুড়ি খান কারণ মুড়ি শুকনো হওয়ার ফলে বাচ্চাদের গলায় গিয়ে আটকে যেতে পারে। তাই আপনাদের বাচ্চাদের সব সময় মরি থেকে ছোটবেলায় বিরত রাখতে হবে। আর যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়াতে ইচ্ছে করে তাহলে দুধ বা চায়ের সাথে খাওয়াতে হবে ভিজিয়ে।
দুই থেকে আড়াই বছর শিশুদের খাবার তালিকা
আড়াই বছরের ক্ষেত্রে ডেইলি চার্ট অনুযায পুষ্টিকর এবং জরুরি খাবার দিতে হবে। তো চলুন জানা যাক দু থেকে আড়াই বছরের বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার তালিকা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
- দুই থেকে আড়াই বছরের বাচ্চাদের খাওয়া তালিকা তে মাখন অথবা ঘি থাকতে হবে
- সকল প্রকার শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়াতে হবে।
- খাবার এবার রান্না তেলে চিনি মিশে খাওয়াতে হবে নয়তো ঝাল লাগতে পারে।
- গরু ও মুরগি কলিজা সবচেয়ে দূর থেকে তিনদিন খাওয়াতে হবে।
- দুধের সাথে মধু এবং বাদাম মিশিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে।
- সকাল নয় থেকে দশটার মধ্যে শিশুদের কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করাতে হবে।
- তরল খাবার খাওয়ানোর থেকে শুষ্ক এবং শুকনো খাবার খাওয়াতে বেশি জোর করতে হবে।
- বাচ্চারা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাচ্ছে কিনা সেটি ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে
- বাচ্চাদের নিয়মিত খেলাধুলা করাতে হবে
- খেসারি এবং মুসুরির ডাল বাচ্চাদের বেশি বেশি খাওয়াতে হবে রান্না করে
- দুই থেকে আড়াই বছর বাচ্চাদের খাবার তালিকায় অবশ্যই লেবু থাকতে হবে
- সবজির মধ্যে মিষ্টি আলু, আলু, মটরশুঁটি, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক, লাল শাক, পুই শাক, ইত্যাদি বেশি বেশি করে খাওয়াতে হবে।
আমাদের শেষ কথা:
আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি শীতকালে শিশুদের ভিটামিন দেওয়ার মতো বারটি খাবার সম্পর্কে। এছাড়াও কত মাসের বা কত বাচ্চাদের কি কি খাবার দিতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়া ছয় মাসের বাচ্চাদের কি কি খাবার তালিকা করতে হবে এবং দু বছরের বাচ্চাদের কি খাবার তালিকা করতে হবে।
এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে আজকের আর্টিকেলটিতে। আশা করি আপনি এ বিষয়গুলো খুব ভালো মতো বুঝতে পেরেছেন। এই ধরনের নিত্য নতুন সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এবং আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url