শীতকালে ঠোঁট ফাটার কারণ - ঠোটের চামড়া ওঠার কারণ কি এ সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক, আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা শীতকালে ঠোঁট ফাটার কারণ কি।আবার অনেকে জানি হয়তো সঠিক কারণটা জানি না। আমরা হয়তো অনেকে আছি যে শীতকালে ঠোঁট ফেটে গেলে মনে করি এটি ঠান্ডার কারণে ফেটে গেছে। কিন্তু মোটেও এমন কোন বিষয় না শীতকালে ঠোঁট ফাটার বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে। আর আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে শীতকালে ঠোঁট ফাটার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জানব।
চলুন জানা যাক শীতকালে ঠোঁট ফাটার কারণ কি এবং ঠোঁটের চামড়া উঠে কি কারণে এই আর্টিকেলটির মধ্যে জানানো হবে। আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন ঠোঁটফাটার বিভিন্ন কারণ এবং ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্র:শীতকালে কোন ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফাটে এসব সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত পড়ুন।
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
আমরা কমবেশি অনেকে জানি না যে কি কারণে আমাদের ঠোঁট ফাটে।এবং যদি আমাদের ঠোঁট ফেটে যায় তাহলে আমাদের কোন ভিটামিন টা খেতে হবে। যে ভিটামিন গুলো খাওয়ার ফলে আমাদের ঠোঁট ফাটা সমস্যা থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে পারবো। আমরা জানি না কোন কারণে ঠোঁট ফাটে এজন্য সঠিক চিকিৎসা নিতে পারি না অনেকেই। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়।তো চলুন জানা যাক। বিশেষ করে ভিটামিন এ বি সি অভাবে আমাদের ঠোঁট একটু বেশি ফেটে যায়। আর শীতকালে বিশেষ করে ঠোঁট ফাটে ভিটামিন ডির অভাবে। কারণ আমাদের শরীরে যখন প্রচণ্ড পরিমাণে ঠান্ডা লাগে ঠান্ডা লাগার ফলে আমাদের শরীরের রক্ত শীতল হয়ে পড়ে। তখন আমাদের অনেক প্রয়োজন হয় ভিটামিন ডি এর কিন্তু সেই সময় আমরা ভিটামিন ডি পাইনা।
কারণ শীতকালের সূর্যের আলো দেখা যায়।না এ কারণে আমরা খুব কম ভিটামিন ডি পাই। আর তখনই আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়। যদি আমাদের শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায় তাহলে আমাদেরকে প্রত্যেককেই। বিভিন্ন রকম ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে আমি শর্করা ইত্যাদি প্রকৃতির।
তাছাড়াও আমাদেরকে খেতে হবে বিভিন্ন রকম ভিটামিন ওষুধ ক্যালসিয়াম ওষুধ নয় তো আমাদের ঠোঁট অতিরিক্ত পরিমাণে ফাটবে এবং সব সময় ঠোঁট থেকে রক্ত বের হতে পারে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বিশেষ করে কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়।
শীতকালে ঠোঁট ও গায়ের চামড়া ফেটে যায় কেন
শীতকালে ঠোট ফাটে ভিটামিন ডি এর অভাবে। আমরা ভিটামিন ডি পাই বিশেষ করে সূর্যের আলো থেকে আর সূর্যের আলো শীতকালে দেখা যায় না সে কারণে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডির সল্পতা অনুভব করি। আর ভিটামিন ডি যখন আমাদের শরীরে ঘাটতি পরে বিশেষ করে তখনই আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়। তাছাড়াও আমরা যখন শীতকালে বিভিন্ন রকম গাড়ির ঘরাতে চলাফেরা করি।
তখন আমাদের ঠোঁটে অতিরক্ত পরিমাণে বাতাস লাগার ফলে আমাদের ঠোঁট শুকিয়ে ঠোঁট ফেটে যায়। এই ঠোঁট ফাটার এই সমস্যা গুলো বিশেষ করে বাইকার বা বিভিন্ন রকম গাড়ি চালকের দেখা দেয়। আর শীতকালে আমাদের গায়ে চামড়া ফাটে ভিটামিন সি এবং এর কারণে এআরসি যখন আমাদের শরীরে কম পড়ে তখন আমাদের শরীর ফেটে যেতে পারে। কারন আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে রক্তচাপ থাকে।
যখন আমাদের শরীরে ভিটামিন সি অভাব হয়।তখনই আমাদের শরীরের চামড়া শক্ত বা টান হয়ে পড়ে। আর আস্তে আস্তে শব্দ টান হয়ে থাকার ফলে গায়ের চামড়া ফেটে যায়। গায়ের চামড়া ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হল। শীতকালীন সময় আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম ক্রিম বা বিভিন্ন রকম উপাদান মারতে হবে। যাতে করে আমাদের শরীরের চামড়া এবং মাংস সব সময় নরম বা শুষ্ক থাকে।
যেমন শীতকালীন সময় আমাদেরকে ব্যবহার করতে হবে গ্লিসারিন, লোশন, বিভিন্ন রকম তেল, সরিষা তেল, বিভিন্ন রকম ক্রিম, যেগুলো ব্যবহার করার ফলে আমাদের শরীরের চামড়া সব সময় সফট এবং মোলায়েম থাকবে। যদি শীতকালে আপনি এই ধরনের উপাদানগুলো ব্যবহার করে থাকেন তাহলে দেখা যাবে আপনার সমস্যা থেকে আপনি খুব সহজে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
আর বিশেষ করে যাদের চামড়া ফেটে গেছে হাত পায়ের তারা এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করবেন তাহলে দেখতে পাবেন যে খুব সহজে আপনি এই ধরনের চামড়া কাটা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়
ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরো উপায় সম্পর্কে জানতে হলে এই স্টেপটি পড়ুন। এই অংশটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ঠোট ফাটা কমানো যায় ঘরোয়া উপায়ে। এই অংশটিতে আমরা খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি যে ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। তো চলনা দেরি না করে বিস্তারিত ভাবে নিচে জেনে নেওয়া যাক যে কিভাবে ঠোটফাটা কমানো যায় ঘরোয়া উপায়ে সেই বিষয়ে।
শীতকালীন সময় কমবেশি আমাদের সকলের ঠোঁট ফেটে যায়। ডাক্তারগণের মতে এটি শীতকালে সময়ে ঠোঁট ফাটে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার ফলে আমাদের শরীরের রক্তচাপ কমে যায়। আর তখনই আস্তে আস্তে আমাদের শরীরে বিভিন্ন অংশ ফাটা দেখা যাক ঠোঁট নরম অংশ হওয়ার ফলে ঠোঁট একটু বেশি ভালোভাবে ফেটে যায়।
আর আপনি যদি কিছু নিয়ম মেনে চলেন তাহলে এই সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে পারবেন। তো চলুন দেরি না জেনে নেওয়া যাক ঠোঁটফাটা কমানোর ঘরো উপায় সম্পর্কে কিছু স্টেপ যেগুলো ব্যবহার করে আমরা আমাদের ঠোঁটকে ভালো রাখতে পারব।
ঠোঁটফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়:
ঠোঁটফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়:
- এক চা-মোচ চিনি এবং এক চা চামচ নারিকেল তেল দু-তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে বানিয়ে ফেলুন লিপ কেয়ার। যেটা দিনে ১ থেকে ২ বার লাগাবেন এভাবে যদি এক সপ্তাহ ব্যবহার করেন তাহলে দেখতে পাবেন আপনার ঠোঁট ঠিক হয়ে যাবে।
- এক চামচ চিনি এবং দারচিনি কিছু পরিমাণের এবং তার সাথে এক চামচ মধু দিয়ে ভালোভাবে মিল্ক করে সেটি ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁট লাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাটা কালো দাগ বিভিন্ন সমস্যা ঠোঁট থেকে দূর হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ঠোঁট ফেটে গেলে একটি লেবুর কাঁটা অংশের উপরে কফি বা চাপাতি দিয়ে তার উপরে এক ফোটা থেকে দু ফোঁটা মধু দিয়ে সেটি ঠোঁটে ভালোভাবে দোলন তাহলে আপনি দেখতে পাবেন আপনার ঠোঁট কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যাবে ঠোঁটফাটা সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন।
- এক গ্লাস দুধের মধ্যে তিন চারটি গোলাপের পাপড়ি দিয়ে রাখুন। তারপরে সেই পাপড়িগুলো দূর থেকে তুলে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে ঠোটে লাগিয়ে দিন। ঠোটে লাগানোর অন্ততপক্ষে 20 থেকে 30 মিনিট পর সেটিকে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন যদি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ঠোঁটে কোন সমস্যা দেখা দিবে না সমস্যা দেখা দিবে না।
- এক চামচ চিনি এক চামচ মধু এবং দুই চামচ দই দিয়ে লিপ মাক্স বানিয়ে নিতে পারেন।
হঠাৎ ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি
আমরা হয়তো অনেকে জানিনা যে হঠাৎ ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি এই সম্পর্কে। হঠাৎ ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে এবং এতে আপনার ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। যদি আপনার কখনো হঠাৎ ঠোঁট শুকিয়ে যায় তাহলে আপনি দেখতে পাবেন। কয়েকদিনের মধ্যে আপনার ঠোঁট ফেটে খুব তাড়াতাড়ি রক্ত বের হচ্ছে।
এইভাবে যদি কয়েকদিন ধরে আপনার ঠোঁট থেকে রক্ত বের হয় তাহলে এতে করে আপনার ঠোঁট নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা অনেক পরিমাণে রয়েছে। হঠাৎ ঠোঁট শুকিয়ে যায় শীতকালে বিশেষ করে শরীরের রক্ত হিমোগ্লোবিন ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার ফলে যখন আমাদের শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যায় তখন আমাদের শরীরে রক্তচাপ কমে যাওয়ার ফলে শরীর শীতল হয়ে পড়ে।আর তখনই আমাদের ঠোঁটের সাথে সাথে আমাদের হাত-পা বিভিন্ন অংশ ফেটে যেতে পারে।
তাই আমাদের কখনো যদি ঠোঁট হটাৎ শুকিয়ে যায় তাহলে আমাদের সাথে সাথে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। হয়তো আপনি ঘরোয়া উপায় চিকিৎসা নিবেন নয়তো আপনি কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। নয়তো আপনার আস্তে আস্তে ঠোঁট ফেটে ঘা হতে যেতে পারে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে হঠাৎ ঠোঁট ফেটে গেলে কি হতে পারে।
শীতকালে কাপড় তাড়াতাড়ি শুকায় কেন
আমরা কম বেশি সকলে জানি সাইন্সের ভাষায় বলা হয়েছে যে শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায় এবং আপেক্ষিক আদ্রতা খুব বেড়ে যায়। এ কারণে ভেজা কাপড় পানি দুটো বাষ্পে পরিণত হয়। এবং কাপড় তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাছাড়া একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায় শীতকালে বাতাসের পরিমাণ একটু বেশি হয়ে থাকে।বাতাস বাতাসে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্পের আদ্রতা মিশে থাকে।যখন কোন কাপড়চোপড়ে বাতাস লাগে তখন একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়।
যে খুব তাড়াতাড়ি কাপড় চোপড় শুকিয়ে যায়। তাছাড়া আমরা একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে শীতকালে কোন জায়গায় পানি পড়ে গেলে সে পানি খুব তাড়াতাড়ি মাটির শুষে নেয়। এতে করে বোঝা যায় যে শীতকালে প্রচুর পরিমাণে প্রাণীর জলীয় বাষ্প আদ্রতা বেড়ে যায় যার ফলে প্রচুর পরিমাণে শীতকালে পানি জ্বলে বাষ্প হয়ে থাকে। এর কারণে আমরা যখন কোন ভেজা কোন কিছু শুকাতে দি ই তাই তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url