ব্রেন টিউমারের লক্ষণ - ব্রেইন টিউমার অপারেশনের পর করণীয় সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক, আপনি কি ব্রেন টিউমারের লক্ষণ জানেন। বা আপনাদের যদি কখনো ব্রেন টিউমারের লক্ষণ দেখা দেয়। তাহলে সেটা কি করে বুঝবেন যে এটা ব্রেন টিউমারের লক্ষণ আপনি যদি ব্রেন টিউমার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্যই আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে জানতে পারবেন ব্রেন টিউমারের লক্ষণ।
বা ব্রেন টিউমার হলে কি করতে হয় বা করণীয় গুলো কি কি। তা এই আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আমাদের মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কারণ ব্রেন টিউমার কমবেশি সকলেরই দেখা দিচ্ছে তাই আমাদের জেনে রাখতে হবে যে ব্রেন টিউমারের লক্ষণ এবং ব্রেন টিউমারের অপারেশনের পর করণীয় গুলো কি কি।
পোস্ট সূচিপত্র: ব্রেন টিউমারের লক্ষণ এবং ব্রেন টিউমার অপারেশনের পর করণীয় সম্পর্কে জানুন।
ব্রেন টিউমারের লক্ষণ
ব্রেন টিউমার এই শব্দটার সাথে আমরা কম বেশি সকলে পরিচিত। যেটি একটি খুবই বিপদজনক রোগের লক্ষণ বা রোগ যেটি হলে মানুষের বেঁচে থাকাই খুবই কষ্টকর। এই ব্রেন টিউমার মানুষের যে কোন বয়সেই হতে পারে। মানুষের মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে এটি হল সবচেয়ে বড় সমস্যা এটি হল ব্রেন টিউমার যেটি হলে মানুষের খুবই বিপদজনক সমস্যা দেখা দেয়।
এই ব্রেন টিউমার যখন মাথার কোন কোষের আকৃতি বৃদ্ধি পেয়ে মোটা বা বড় হয়ে যায় তখন এটি ব্রেন টিউমারে রূপান্তরিত হয়।ব্রেন টিউমার হলে যেসব লক্ষণ মানুষের মধ্যে দেখা দেয়:
- ব্রেন টিউমার যখন প্রথম মানুষের মাথায় দেখা দেয় তখন মাথা প্রচুর পরিমানে ব্যথা করে এবং চোখে ঝাপসা ঝাপসা দেখা দেয়।
- ব্রেন টিউমারের ব্যথা যখন দেখা দেয় এই ব্যথাটা মূলত ভোরের দিকে দেখা দেয় প্রচুর পরিমাণে ব্যথা করে এবং মাথায় অনেকটা খিচুনি দেয়। এবং আমাদের হাত-পা থর থর করে কাঁপতে থাকে। এবং এই মাথাব্যথা কিছুতেই যেতে চায় না।
- মানুষের মাথার মস্তিষ্কের ভিতরে পি টু রাইটিং গ্লাসে টিউমার হলে মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে যায়। মানুষের মস্তিষ্কের পিটো রাইটিং ক্লাসে টিউমার হলে মানুষ আস্তে আস্তে কথা ভুলে যায় এবং কিছু মনে করে থাকতে পারে না। এবং রোগী খালি সামনের দিকে দেখতে পায় আশেপাশে তেমন কিছু পরিষ্কার বুঝতে পারে না।
- মানুষের খুলির নিচে প্রকষ্ট টিউমার হলে রোগী ভালোমতো হাঁটতে পারে না বেশিরভাগ সময় ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায় এমনকি ভালোভাবে দাঁড়াতেও পারে না।
- কোন রোগের যদি মটর এরিয়ায় টিউমার হয় তার উল্টোর দিকে বা পিছন দিকে প্যারালাইসিস হয়ে যায়।
- এবং টিময় যদি বেশি বড় হয়ে যায় হঠাৎ করে রোগী মৃত্যু হয়ে যেতে পারে।
ব্রেন টিউমার কেন হয়
মানুষের মস্তিষ্কে ব্রেন টিউমার বিভিন্ন কারণ হয়ে থাকে। মানুষের যখন ডিএনএর কোনো সমস্যা থাকে তখনও মাথায় ব্রেন টিউমার দেখা দিতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক মানুষ অনেক ধরনের এক্সিডেন্ট করে মাথায় ব্যথা পায়। মাথায় ব্যথা পাওয়ার ফলে অনেক সময় চিকিৎসা নিয়ে আমরা কিন্তু মাথার সম্পূর্ণ চিকিৎসা নেওয়া হয় না। সে ক্ষেত্রে যে স্থানে ব্যথা পাই আমরা সেই স্থানের রক্ত গুলো জমাট বেঁধে থাকে।
মাথার ভিতরে সে রক্তগুলো আস্তে আস্তে জমাট বাঁধতে বাড়তে একটি কোষের সাথে লেগে যায়। এবং সেই কোষে একটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে যে ব্যাকটেরিয়া থেকে আস্তে আস্তে একটি গুচ্ছ টিমার পরিণত হয়। এটা আস্তে আস্তে যখন বড় হয় আমরা এটা কি ব্রেন টিউমার হিসাবে চিনে থাকি। এছাড়াও কোন সময় দেখা যায় যে আমাদের মাথায় প্রচুর পরিমাণে ব্যথা করে। এবং মাথা ব্যথার পাশাপাশি আমাদের বমি আসে বা বমি বমি ভাব পায়।
কিন্তু আমরা জানি না এই সমস্যাগুলি আমাদের কি কারণে দেখা দেয়। এই সমস্যা গুলি দেখা দিলে আপনারা কোন ভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ ব্রেন টিউমার এইভাবেই মানুষের মস্তিষ্কে লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে। এক কথায় বলতে গেলে আমাদের মাথায় কোন ধরনের পেশার বা কোন অ্যাক্সিডেন্টের ফলে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে চাপ পড়ে সে ক্ষেত্রে আমাদের মাথায় ব্রেন টিউমার দেখা দিয়ে থাকে।
ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে
মানুষের মস্তিষ্কের ব্রেন এটি একটি মানুষের মেইন পয়েন্ট বা জিরো পয়েন্ট বলা হয়। কারণ ব্রেনকে এই কারণে মানুষের মেইন পয়েন্ট বলা হয়েছে যে কারণ মানুষ সবকিছু সহ্য বা বিচক্ষণতা দেখায় মানুষের ব্রেন থাকার ফলে সে কারণে মানুষের ব্রেন কে মানুষের মেইন পয়েন্ট বা জিরো পয়েন্ট বলা হয়েছে। কারন আমাদের মাথায় ব্রেন থাকার ফলে আমরা আমাদের পুরো শরীরকে কন্ট্রোল করতে পারি। বা কোন ধরনের কোন সমস্যায় পড়লে খুব তাড়াতাড়ি চিন্তায় পড়ে যায়।
এবং খুব তাড়াতাড়ি এর উত্তরও পেয়ে যায়। যেটা শুধু মানুষের ব্রেইন থাকার ফলে যদি সেই ব্রেনে কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে মানুষের কতটা সমস্যা হবে সেটা আমরা কম বেশি সকলেই জানি। মানুষের ব্রেইনে যখন টিউমার দেখা দেয় তখন সেটা ছোট থাকে আস্তে আস্তে বড় হয়। যখন প্রথম প্রথম টিউমার মানুষের মস্তিষ্কের ভিতর দেখা দেয় তখন হালকা হালকা মানুষের সমস্যা দেখা দিতে থাকে। যেটা হালকা পাতলা ওষুধ বা মেডিসিন খাওয়ার ফলে ঠিক হয়ে যায়।
বা ব্রেন টিউমার হলে সাথে সাথে চিকিৎসা নিলে এটি কিছুদিনের মধ্যে ভালো হয়ে গিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই আছে যেগুলো কে গুরুত্ব দিই না আমরা মনে করি ব্রেন টিউমারী তো এটি হলে আবার কি হবে। কিন্তু না ব্রেন টিউমারকে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের একটি ভুলের কারণে আমাদের মৃত্যু হতে পারে।
যখন টিউমারটি ছোট থাকে আমরা যদি সাথে সাথে চিকিৎসা নেই তাহলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাব এবং টিউমার জাতীয় রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যাব একবারে। কিন্তু আমরা যদি তখন চিকিৎসা না নি আর এটি যদি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে তাহলে আমাদের মৃত্যু হয়ে যেতে পারে।
ব্রেন টিউমার অপারেশন খরচ বাংলাদেশ
ব্রেন টিউমার যেটি হলে মানুষের অপারেশন করাটা খুবই জরুরী কারণ অপারেশন যদি না করা হয় মানুষের মৃত্যু হতে পারে। তাই ব্রেন টিউমার হওয়ার সাথে সাথে মানুষ অপারেশন করার জন্য খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কিন্তু অনেকেই আছে যে ব্রেন টিউমার সম্পর্কে খুব ভালো কিছু জানে কিন্তু অপারেশন এর সময় অপারেশনের খরচ সম্পর্কে জানেনা। কারন অপারেশন করার জন্য অনেকটাই খরচ বহন করতে হয়।
কিন্তু আমরা সেই খরচটাই জানি না তো চলুন জেনে ফেলা যাক যে ব্রেন টিউমারের অপারেশনের খরচ কত। ব্রেন্ড টিউমারের বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে বা বিভিন্ন রেটে অপারেশন করানো হয়। কারণ এটি বিভিন্ন মেডিকেলে করা হয় আর মেডিকেলের ডাক্তার এবং সবকিছুর উপর নির্ভর করে এটি দাম বা কত টাকা লাগে অপারেশন করতে এটি নির্ভর করে। ঢাকাতে ব্রেন টিউমারের অপারেশন খরচ এক লাখ হতে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
আবার দেখা যায় যে চট্টগ্রামে আর এক ধরনের আরাক রেট চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ব্রেন টিউমারের অপারেশনের খরচ এক লাখ বিশ হাজার হতে এক লাখ আশি থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেমন এমন ধরনের বিভিন্ন মেডিকেলে বিভিন্ন রোডে অপারেশন করানো হয়। কিন্তু আমরা যদি এই অপারেশনটাকে বাংলাদেশের বাহির থেকে করিনি আমাদের এত টাকা খরচ পরবে না আর আমরা এর থেকে উন্নত মানের চিকিৎসাও পাব।
যেমন আমরা যদি ইন্ডিয়া থেকে ব্রেন টিউমারটি অপারেশন করিনি তাহলে আমাদের খরচ পড়বে আশি হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকার ভিতর তাহলে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশে কত রেট এবং বাহিরের দেশে কত রেট।
ব্রেইন টিউমার অপারেশনের পর করণীয়
আমরা যখন ব্র্যান্ড টিউমারটি অপারেশন করব। করার পর আমাদের যেভাবে চলাফেরা বা নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখতে হবে মূলত এক কথা বলতে গেলে আমরা যখন ব্রেন টিমাটি অপারেশন করে বাসায় আসব আমাদের সব সময় নিজেকে রেস্ট এর মাধ্যমে রাখতে হবে। এক কথায় সবসময় আমাদের রিলাক্স থাকতে হবে কোন সময় উত্তেজিত হওয়া যাবে না। এবং আমাদের সব সময় নরম জাতীয় খাবার খেতে হবে।
কারন আমরা যখন শক্ত জাতীয় খাবার খেতে যাব সে খাবারটাকে চিবাতে গেলে মাথায় ব্যথা লাগতে পারে তাই আমরা নরম জাতীয় খাবার খাব। আর কোন ধরনের জুড়ে সাউন্ড বা আওয়াজ শুনবো না সব সময় নিজের মস্তি টাকে ঠান্ডা রাখবো উত্তেজিত হবো না। আমরা যদি এটি কি এক কথায় বলতে যাই তাহলে আমাদের অপারেশনে পরে সময়টাকে নিজেকে এমন ভাবে রাখতে হবে যেন আমরা একটা ছোট বাচ্চা।
তাহলে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে অপারেশনের পর কিভাবে চলাচল করতে হবে এবং নিয়মিত মেডিসিন গ্রহণ করতে হবে যাতে তাড়াতাড়ি মাথার অপারেশনের ঘা বা ক্ষতগুলো ঠিক হয়ে যায়। যদি তাড়াতাড়ি সে ক্ষত গুলো ঠিক না হয় আর সেটিতে আবার আস্তে আস্তে ইনফেকশনও দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের সব সময় নিজের মাথাতে লক্ষ্য রাখতে হবে যে যে স্থানে অপারেশন করব সেই জায়গাটা কতটা তাড়াতাড়ি শুকাচ্ছে।
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url