জলবসন্ত কতদিন থাকে - বসন্ত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
প্রিয় পাঠক, আপনি কি জানেন জলবসন্ত কতদিন থাকে বা জলবসন্ত হলে কি করতে হয়। আপনি যদি জলবসন্ত কতদিন থাকে না জেনে থাকেন তাহলে আমরা আপনাকে জানাবো যে এই জলবসন্ত কতদিন থাকে। এবং এই জল বসন্ত হলে কি করে থেকে মুক্তি পেতে হয়। এবং বসন্ত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো
কারণ আর কিছুদিন পর বসন্ত হাওয়া শুরু হবে বা শুরু হয়েছে। তাই আমাদের প্রত্যেকটা জানতে হবে এই জল বসন্ত কতদিন থাকে। এবং এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন বিভিন্ন বসন্ত সম্পর্কে এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে আগ্রহে পড়ুন।
জলবসন্ত কতদিন থাকে
এমন একটা সিজন আছে এমন এক ঋতু আছে যে সময় শুধু চারদিকে সকলের বসন্তই দেখা যায়। তাও আবার সেটা জলবসন্ত কিন্তু আমরা অনেকে জানি না তাই জলবসন্ত কতদিন থাকে। তো চলুন যারা যারা জানেন না তাদের জন্য জানানোর ব্যবস্থা করে ফেলছি। আসলে বসন্ত যখন শীতের শুরুতে বা শরৎকালের শুরুতে প্রথমদিকে হালকা হালকা দেখা দেয়। এবং জলবসন্তত যদি কারো হয়ে থাকে।
তার শরীরে কমপক্ষে 10 থেকে 14 দিন পর্যন্ত থাকবেই এর আগে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এই 14 দিনের মধ্যে আমাদের অনেকেরই অনেক ধরনের সমস্যা বা অনেক কষ্ট হয়ে থাকে। বিভিন্ন বসন্ত বিভিন্ন সময় ধরে থাকে যেটা সরাসরি বসন্ত বা ফেরাউন ফ্রক বলা হয়। সেই পছন্দ যদি কারো হয়ে থাকে সেটা ৭ থেকে ১৪ দিন হয়ে থাকে এবং তার পরেগা ভালো হয়। এই বসন্ত হলো আমাদের অনেকেরই অনেক কষ্ট হয়।
এক কথায় বলতে গেলে যত ধরনের বসন্তই আছে সে বসন্ত গুলো যদি কারো হয়ে থাকে। সে বসন্ত গুলো ভালো হতে কমপক্ষে 10 থেকে 14 দিন সময় লেগে যায় এর আগে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। বা এক কথায় বলতে গেলে এই সময়ের আগে বসন্ত ভালো হয় না তাই আমাদের প্রত্যেককে বসন্তের সাবধান অবলম্বন করতে হবে।
আর একটু লক্ষ্য রাখতে হবে যে আমাদের আশেপাশে কারো হয়েছে কিনা হয়ে থাকে তার আশেপাশে আমরা মিশবো না তাহলে আপনি জানতে পারলেন যে জলবসন্ত কতদিন থাকে।
বসন্ত রোগের জীবাণুর নাম কি
আমরাও অনেকেই জানিনা যে বসন্ত রোগের এই রোগটার আসলে নামটা কি বা এ রোগের পরিচয় বা এক কথায় বলতে গেলে তার নাম কি আমরা অনেকেই জানিনা তো যারা যারা জানিনা তাদের জন্য জানানো হলো।গুটিবসন্ত (ইংরেজি: smallpox) এ রোগটি হল একটি মানবদেহের ছোঁয়াচে রোগ এ রোগটি একজন হতে আরেকজনের পার হয়ে যায়। ভ্যারিওলা মেজর বা ভ্যারিওলা মাইনর নামের দুই প্রজাতির ভাইরাসিটি এই রোগটি এ দুটির মধ্যে যেকোনো।
একটি সংক্রমণে হয়ে থাকে। ভ্যারিওলা মেজর একটি মানুষের শরীরের যেভাবে ছড়ায় এ রোগটি হলে ভালো আবর্জনা বা বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের নোংরা আবর্জনা পৌঁছে বিভিন্ন গন্ধ জীবন ছড়ায় মূলত বলতে গেলে ভ্যারিওলা মেজর ধুলোবালি বা নোংরা স্থান বা আবর্জনা যে জায়গাতে থাকে নন্দ মা পচা কোন জিনিস সে জায়গা থেকে এ রোগটি হয়ে থাকে।
এবংভ্যারিওলা মাইনর মূলত এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ ভ্যারিওলা মাইনর যদি কারো হয়ে থাকে। আপনি যদি তার সাথে মেশিন বা চলাফেরা করেন অতিরিক্ত সময় বা হালকা কিছু সময় ধরে তাহলে কিছু কোন বা কিছু সময় লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে ভ্যারিওলা মাইনর বা বসন্ত রোগ আপনার শরীরও দেখা দিচ্ছে ভ্যারিওলা মাইনর মানুষের স্পর্শ বা নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে ছড়ায় তাই কারো।
যদি বসন্ত হয়ে থাকে বাভ্যারিওলা মাইনর হয়ে থাকে। তার সাথে মিশাবা চলাফেরা করা যাবে না চলাফেরা বেশি তাহলে আমাদেরও বসন্ত রোগ দেখা দিবে। তাহলে আপনি জানতে পারলেন যে বসন্ত রোগের নাম আর এই রোগটি কিভাবে মানুষের শরীরের ছড়ায়।
জলবসন্ত কি বায়ুবাহিত রোগ
আমাদের অনেকের মাথার মধ্যে চিন্তাভাবনা ঘুরে যে এই বসন্ত কি বায়ুবাহিত রোগ কি না। বলতে গেলে এটি একটি বায়ুবাহিত রোগ আবার একটি বিপদ জনক ভাইরাস এটি যেটা জলবায়ু এবং মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের ভিতর ছড়িয়ে থাকে। আবার অনেক সময় লক্ষ্য করলে দেখা যায় । আমাদের আশেপাশে যদি কারো জলবসন্ত হয়ে থাকে সেটা হঠাৎ আমাদের ভেতরে সেটার লক্ষণ দেখা দেয় কিন্তু এটা কি কারণে আমরা অনেকেই জানিনা এটাকে বলা হয়।
বায়ুবাহিত রোগ যেটা জলবায়ু বা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় আবার অনেক সময় লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে যাদের গায়ে জলবসন্ত হয়ে থাকে।আমরা যখন তাদের সাথে একটু বেশি চলাফেরা করে থাকি।তখন আস্তে আস্তে সেই লক্ষণ গুলো আমাদের শরীর দেখা দিয়ে থাকে কারণ এটা স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। কিন্তু বসন্ত বাহিত রোগ এটা সবচেয়ে বেশি যেভাবে ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে বা জলবায়ুর মাধ্যমে কারণ।
আমাদের আশেপাশে অনেকের বসন্ত না হলেও অনেক সময় দেখা হঠাৎ সবার বসন্ত দেখা দেয়। কিন্তু আমরা অনেকে জানিনা হঠাৎ এই বসন্ত দেখা দেওয়ার কারণ কি কারণ হচ্ছে এটাই আমাদের আশেপাশে হয়তো কারো না কারো এ বসন্ত রোগ দেখা দিয়েছে। হতে পারে সেটা আমাদের থেকে দূরে কিন্তু সেখান থেকে আমাদের শরীরে যেভাবে এসেছে সেটা হলো বায়ুবাহিত বা জলবায়ুর মাধ্যমে কারণ।
কারণ এই বসন্ত রোগ বায়ু বা বাতাসের মাধ্যমে সব আমাদের শরীরে ঢুকে থাকে তাই আমাদের বসন্তের সিজন বা বসন্তকালে নিজেকে সবসময় সেভ রাখতে হবে। বা যাদের বসন্ত হয়েছে তাদের আশেপাশেও মিশা যাবে না তাহলে আপনি জানতে পারলেন জল বসন্ত বা বাহিত রোগ কিনা।
বসন্ত রোগ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ
আমরা অনেকেই জানিনা আগে বসন্ত রোগ হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে আবার কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা এটা নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক অনেক চিন্তাভাবনা করে থাকি এবং অনেক ধরনের খাবার খায় না। আমরা মনে করি এই খাবারটা খেলে হয়তো আমাদের সমস্যা হবে এর ভয়ে খায় না আবার যে খাবারটা খেলে আমাদের উপকার হবে সেই খাবারটা আমরা ভয় খায় না কারণ এতে যদি কোন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আসলে এ বসন্ত রোগ হলে সব ধরনের খাবার খাওয়া যায় না কিছু কিছু খাবার থেকে বিরত থাকতে হয় কারণ কিছু কিছু খাবার এই জন্য খুবই বিপদজনক তাই তাই এর থেকে একটু নিজেকে আড়াল করে রাখতে হয় বা দূরে রাখতে হয়। তো চলুন জানা যাক কি কি খাবার খেলে আমাদের উপকার হবে আর কি কি খাবার খেলে উপকার হবে না। মূলত যখন আমাদের শরীরে বসন্ত রোগ দেখা দিবে তখন আমরা মাছ খেতে পারব না কারণ মাছ খেলে বসন্ত রোগ আরো বেশি হয় বা বসন্ত যে গুটি গুলো ওটা শরীরে আরো বেশি বের হয় তার মাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। মাংস হাঁসের মাংস গরুর মাংস এবং হাঁস মুরগির ডিম থেকে বসন্ত রোগ হলে দূরে থাকতে হবে। আর আমাদের শরীরে যদি বসন্ত রোগ দেখা দেয় বা হয় সবচেয়ে বেশি যে খাবারগুলো খেলে উপকার হবে। সে খাবারগুলো হল কচু, শাক এবং তিত জাতীয় কোন সবজি যেমন করোলা বিশেষ করে করলা একটু বেশি খেতে হবে ভাজি ঝোল এগুলো করে খেতে হবে কারণ করলাতে প্রচুর পরিমাণে সাইকোরিক এসিড থাকে। যেটা শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে খুবই উপকারী। তাই আমরা বেশি বেশি করে করলা খাব আমাদের শরীরে বসন্ত রোগ দেখা দিলে।
বসন্ত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
বসন্ত রোগ শরীরে দেখা দিলে যেভাবে বুঝতে পারবেন আমরা অনেকেই জানিনা যে বসন্ত করব কিভাবে দেখা দেয় বা এটা দেখতে কেমন হয় বা হলে কিভাবে বুঝব তো যারা জানেন না তাদের জন্য। আসলে বসন্ত হোক প্রথমে মানুষের শরীরে হালকা হালকা করে শরীর যাতে দেখা দেয় যেমন সেটা ঘামাচির মত হয়ে আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে এবং মুক্ত ঘাড়টার সব জায়গায় বের হয়।
এভাবে আস্তে আস্তে করে পুরো শরীর ভরে যায় এবং অনেক জ্বালাপোড়া বা ব্যথা করে। মূলত বসন্ত রোগের একটি ভাবে দেখা দেয়। আর এটা যদি হয় যেরক হবে ঘরোয়া উপায় চিকিৎসা করবেন। বসন্ত রোগ হওয়ার পরে প্রতিদিন নিমপাতা দিয়ে গোসল করতে হবে এবং সব সময় নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হবে কারণ এটা যে মানুষ হারালে বা সাই ড ইনফেকশন দেখা দিলে অনেক সমস্যা হবে।
তাই নিজেকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এবং বসন্তের যে গুটি গুলো থাকবে সেগুলোতে হলুদ এবং নিম পাতা পিষেবা মিক্স করে বেটে লাগে দিতে হবে। এইভাবে কয়েকদিন দিনে ৩-৪ বার করে ব্যবহার করলে বসন্ত রোগ থেকে ঘরোয়া উপায় মুক্তি পাওয়া যায়।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ে থাকেন তাহলে জানতে পারছেন যে কিভাবে বসন্ত রোগ থেকে মুক্তি পেতে হয়। এবং বসন্ত রোগ কিভাবে ছড়ায় এর বসন্ত রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন কিছু জানতে পেরেছেন আপনি যদি এটি মনে হোক সহকারী সম্পন্ন করে থাকেন ইনশাল্লাহ আপনি উপকৃত হবেন পোস্টে যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করুন।
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url