কবুতরের ঝিমানো সবুজ ও চুনা পায়খানার চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন কবুতরের ঝিমানো ও চুনা পায়খানার চিকিৎসা আর
আপনি যদি এই বিষয় না জেনে থাকেন যে তাহলে আমরা আপনাকে জানাতে যাচ্ছি
যেকবুতরের ঝিমানো সবুজ ও চুনা পায়খানার চিকিৎসা সম্পর্কে এইসব বিষয়ে আপনি
যদি জানতে আগ্রহী হন তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন এবং পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ে ফেলুন
কবুতরের ঝিমানো সবুজ ও চুনা পায়খানার চিকিৎসা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত
তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের নিচের পোস্ট সূচীপত্রটি যদি একটু লক্ষ্য করেন
দেখতে পাবেন যে এখানে আমরা বিভিন্ন টপিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আপনি আপনার মন
পছন্দ টপিক পেয়ে যাবেন ধন্যবাদ
কবুতর ঝিমানো রোগের ওষুধ
আপনার যদি কোন কবুতর অসুস্থ হয়। ঝিমাই তাহলে প্রথমে সেটিকে বাকি কবুতর মাঝখান
থেকে আলাদা করে ফেলুন ।কারণ এগুলো একটি ছোঁয়াচে রোগ একটা থেকে আর একটায় পার হতে
পারে । আর পারলে তাকে রোদে রাখুন তারপরে তাকে ওষুধ দিন রেনামাইসিন একটি ক্যাপসুল
বা একটি ট্যাবলেট মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে দু'ভাগ করে ।
একভাগ সে অসুস্থ কবুতরটিকে খাইয়ে দিন । এতে কবুতর ঝেমানোর রোগ বা কবুতর লোসহ
হয়ে থাকবে না । আর যদি কবুতরের জ্বর হওয়ার কারণে কবুতরটি ঝিমায় তাহলে তাকে
প্যারাসিটামল বা নাপা একটি খাইয়ে দিতে হবে । তাহলে তার জ্বর বা ব্যথা কমে যাবে
এভাবে ঝিমানো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
কবুতরের সবুজ ও চুনা পায়খানার চিকিৎসা
সবুজ পায়খানা ও চুনা পায়খানা কে কলেরা রোগ হিসেবে বলা হয়েছে কলেরা রোগ তখনই
হয় । যখন কবুতরগুলো হালকা ভাবে রানীক্ষেতের ভাব দেখা দেয় । রানীক্ষেত একটি
মারাত্মক রোগ রানীক্ষেত রোগ তখনই দেখা দেয় । যখন খাবার ভেজা ভেজা থাকে বা পানিতে
মলত্যাগ করার পরে ওই পানি আবার কবুতরগুলো খায় । সবুজ পায়খানা বা কলেরা রোগ থেকে
মুক্তি পাওয়ার উপায় ফার্মেসিতে গিয়ে ইমোটিল নামের ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল পাওয়া
যায় ।
সেটিকে ৩০ থেকে ৪০ এম এল পানিতে মিশিয়ে অসুস্থ কবুতরটিকে খাইয়ে দিন । এমোটুল
ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল খাওয়াল পেট ক্লিয়ার হবে চুনা পায়খানা বা সবুজ পায়খানা
থেকে মুক্তি পেতে ফার্মেসিতে গিয়ে হাইকমাস, ইউরোকট, ইত্যাদি ওষুধ নিয়েছে কবুতর
অসুস্থ প্রানীটিকে খাইয়ে দিলে সে সুস্থ হয়ে যাবে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ।
কবুতরের কৃমির ওষুধের নাম
যদি কবুতরের কৃমি রোগ দেখা দেয় . কিন্তু আপনারা অনেকে জানেন না যে কখন কৃমির রোগ
দেখা দেয়। আর কৃমির দোষটা কখন করতে হয়। কৃমি রোগ একটা স্বাভাবিক রোগ এটা সকল
পশু ও পাখির হয়ে থাকে। কিন্তু সময় মত কৃমির ওষুধ না খাওয়ালে পশু এবং পাখি মারা
যায়। কিরমি রোগ হলে কিভাবে বুঝবে। কৃমিরও বোঝার উপায় কৃমি রোগ হলে কবুতরগুলো
পায়খানা করার সময় রক্ত রক্ত ভাব দেখা দিবে এবং পায়খানার ভিতরে দেখা যাবে
যে সাদা সাদা আস পরিমাণের কিছু সেগুলোই হলো কৃমি রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে
নিমপাতা বেটে কবুতরগুলোকে খাইয়ে দিন। এতে যদি কোন অসুস্থ কবুতরগুলো আরাম না পায়
। তাহলে তাকে ফার্মেসি থেকে পিসি ভেট, নামক মেডিসিন এনে খাইয়ে দিতে হবে ।
এতে সকল কবুতরেরথেকে কিরমি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। কিন্তু আপনারা জানেন না যে,
কৃমি রোগ কত দিন পর পর দেখা দেয় । সাধারণত কির্মী রোগ ৪০ দিন পর পর দেখা দেয়
তাই ৪০ দিন পর পর মেডিসিন দিতে হবে। পিসি ভেট, দিলেই কৃমি সব মারা যাবে এবং
কবিতার সুস্থ থাকবে । এভাবে কৃমি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কবুতরের রুচির ওষুধ
যদি আপনার কবুতরগুলোর রুচি কমে যায় এবং খাবার না খায় । কবুতরের মুখে রুচি
বাড়াতে সাহায্য করে। ছোট ছোট ,ইটের কুটি বা পাথর ,শস্য, ধান এবং মরিচ বীজ
ইত্যাদি। এগুলো কবুতরের মুখে রুচি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে । তাছাড়াও কবুতর যে
খাবারগুলো মাঠ থেকে কুড়িয়ে খায়।
সেগুলো খাবার খেলে খাবার হজম শক্তি বাড়ে এবং রুচিও বাড়ে । তাই তাকে সেগুলো
খাবার দিলে ভালো হয় । তাছাড়াও আপনি যখন কবুতরগুলোকে ক্রিমি কোর্স করাবেন । তখন
কবুতরের পেটের ভিতর কৃমি সব মারা যায় এতে কবুতরের অনেক রুচি বাড়ে । তাই কবুতরের
রুচিও বাড়াতে কৃমির কোর্স টা অনেক জরুরী ।
কবুতরের ভিটামিন ঔষধের নাম
সাধারণত কবুতরের ভিটামিনের জন্য এডিজি ব্যবহার করা হয় । আর ক্যালসিয়ামের জন্য
ক্যালপ্লেক্স তাছাড়া চাইলে আপনার অন্য কিছু ইউজ করতে পারেন । তাছাড়াও মানুষ যে
ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট গুলো খায় সেগুলো খাওয়ানো যাবে । কবুতরের ওজন বারাতে v54
খাওয়ালে ওজন বাড়বে। আর কবুতরের মুখে রুচি বাড়াতে ডাইজেস্টিভ পি খাওয়াতে হবে ।
তা ছাড়াও কবুতরকে ডিম পাড়াতে সাহায্য করে E cap ক্যাপসুল E cap ক্যাপসুল প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন থাকে । এই ভিটামিন গুলো তখনই দরকার হয় যখন কবুতরগুলো বাচ্চা
দেয় । বাচ্চা কে সুস্থ রাখতে এগুলো খাওয়াতে হবে । এই ভিটামিন বা ক্যালসিয়াম
গুলো খাওয়ালে কবুতরের বাচ্চা বড়
সাইজের হয় এবং নাদুস নুদুস হয় । আর যদি কবুতরের সর্দি বা কাশি হয় তাহলে পালমো
কেয়ার নামক এক টি পে ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। সেটিকে আনতে হবে এবং কবুতরের উপর
স্প্রে করে দিতে হবে তাহলে সর্দি এবং কারছি ভালো হয়ে যাবে।
কবুতরের পুষ্টিকর খাবার
যেমন কবুতরের ডিম এবং বাচ্চা আমাদের খুবই জরুরি খাবার বা প্রাণী কারণ এটা আমরা
শখে মানুষ করি বা রান্না করে খাওয়ার জন্য যাতে শরীরের রক্ত বাড়ে তাই কবুতরের
বাচ্চা আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস আর ইদানিং কবুতরের বাচ্চা সকলের কমে যাচ্ছে
পুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়ার এর অভাবে আমরা যে যে খাবার থেকে পুষ্টি পাব ভাত চাল গম
ফিট ভিটামিনযুক্ত পানি শস্য ইত্যাদি
এই খাবারগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন পাই. এবং আমাদের কবুতরের বাচ্চা হলে একশ
বার খাবার গুলো দিলে বাচ্চা দেখতে অনেক সুন্দর নাদুসনুদুস হয় দেখলে মন চায় হাত
দিয়ে ধরি বা স্বাস্থ্যবান হয় এটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে এবং সুস্থ-পুষ্ট জিনিস
আমরা সকলেই পছন্দ করি তাই এদের এসব পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে তাহলে পুষ্টিকর হবে।
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url