ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে - ডেঙ্গু রোগের 20 টি লক্ষণ ও প্রতিকার
আপনি কি জানেন ডেঙ্গু জ্বর কি আর আপনি যদি ডেঙ্গুদের সম্পর্কে না জেনে থাকেন। তাহলে আমরা আপনাকে জানাবো ডেঙ্গুর জ্বর কি ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে 20 টি তথ্য জানুন ।আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন ডেঙ্গু জ্বরের 20 লক্ষণ তাই আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
আপনার যদি ডেঙ্গু জ্বর হয় বাট ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি কি ।আপনি ডেঙ্গু জ্বর থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে পারবেন চলুন আজকের আর্টিকেল থেকে বৃষ্টি তথ্য জানুন। তথ্যটি জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত করে ফেলুন।
ভূমিকা
আমরা আজকে ডেঙ্গু রোগের 20 টি লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব বা আরো বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হলে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে এবং ডেঙ্গু জ্বর থেকে কি কি করলে মুক্তি পাওয়া যায় এ বিষয়ে সম্পন্ন আর্টিকেল প্রকাশিত করা হলো
ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়
আমাদের দেশে প্রচলিত একটি রোগ হলো ডেঙ্গু জ্বর এ রোগটি প্রতি বছর বর্ষার সময় দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বর এটি একটি ভাইরাস এটি মূলত মশার মাধ্যমে ছড়ায়। কোন ব্যক্তিকে যদি এই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মশায় বা বিপদ জন্য জঙ্গলে থাকা মশাই যদি কামড় দেয় তাহলে তার ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আরে ডেঙ্গুজন আক্রান্ত মশাগুলো কামড় দিলে ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে ঝরে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
এভাবে একজন থেকে আরেক জনের মাধ্যমে এই ডেঙ্গু জ্বরটি ছড়ায় ডেঙ্গুজরে আক্রান্ত মশার যতজনকে কামড় দিবে তত জনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যাবে। ডেঙ্গু জ্বর মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হল হেমোরেজিক ডেঙ্গু ফ্লেভার আরেকটি হলো ক্লাসিকাল ডেঙ্গু ফ্লেভার এবার নিচের চ্যাপ্টারের ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে 20 তথ্য জানুন
ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে
ডেঙ্গুজোর মূলত একটি মশা বাহিত ভাইরাস রোগ। যখন বিষাক্ত মশায় কামড় দেয় তখন ডেঙ্গু জ্বর দেখা দেয়। অনেকে জানেন না যে ডেঙ্গু জ্বর হলে ডেঙ্গু জ্বর টি কতদিন থাকে আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা ব্যবহার করেন তাহলে কয়েকদিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।কিন্তু আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার পরে বুঝতে না পারেন ।
আরো পড়ুন:
অথবা অবহেলা করে চিকিৎসা গ্রহণ না করেন তাহলে এটি যখন বেশি হয়ে যাবে তখন অনেক দিন থাকতে পারে তার কোন নির্দিষ্ট সময় থাকবেনা। যে ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকবে আর যদি কোন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বুঝতে পারেন বা দেখা দেয়। তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন নয়তো এমনকি মৃত্যুর জন্য কেউ আসতে পারে। বর্তমানে অনেক মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তাই ডেঙ্গুজর কে অবহেলা করা যাবে না।
ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে 20 টি তথ্য জানুন
ডেঙ্গু রোগের 20 টি লক্ষণ ও প্রতিকার এই অংশে থেকে ডেঙ্গুজা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যেন ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক ব্যাধি কারণ বর্তমান অনেক ডেঙ্গুজোরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন তাই ডেঙ্গু যার সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য যদি আপনি জেনে না থাকেন তাহলে আমরা কে জানার জন্য অনুরোধ করা হলো তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক 20 তথ্য গুলো কি কি
1.প্রথমে জানতে হবে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো জেনে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কিনা তা ছাড়া চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন এতে করে।
আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা নেন তাহলে তাড়াতাড়ি আপনার ডেঙ্গু জ্বর ভালো হয়ে যাবে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলি হল ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরে তাপমাত্রা সবসময় বেশি থাকে অনেক সময় জ্বরও আসতে পারে মাথা ব্যথা চোখের পিছনে ব্যথা করা এবং শরীর করা সম্ভব না দেখা দেয়।
2. ডেঙ্গুজোর হলে বিশ্রামের মধ্যে থাকতে হবে। জন নিয়ে বাহিরে দৌড়াদারি বা ঘোরাঘুরি করা যাবে না প্রতিদিন যে সকল পরিশ্রমযুক্ত কাজ করা হয় সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
3. কারো যদি জ্বর হয় তাহলে প্রথমে ঘরে যাওয়া যাবে না এবং সেটাকে ডেঙ্গু জ্বর মনে করাও যাবে না যদি জ্বর হয় তাহলে তা অবহেলা করার জন্য দুটো চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে
4. ডেঙ্গু জ্বর হলে বমি বমি ভাব হয়ে থাকে এমনকি বমিও হয়ে থাকে।
5. ডেঙ্গু জ্বর হলে ওষুধ খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এছাড়া নিজে থেকে কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না এতে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
6. ডেঙ্গু জ্বর হলে বেশি বেশি তরল যত খাবার খেতে হবে যেন স্যালাইন পানি ডাব ফলের জুস লেবুর রস সহ আরো যে সকল দরজা বেশি বেশি করে খেতে হবে।
7. ডেঙ্গু জ্বরের সময় কাল মূলত হয়ে থাকে জুলাই মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সেজন্য এ মাসটুকু সাবধানে থাকতে হবে রাতে মশারি টাঙাইয়া ঘুমাতে হবে।
8. ডেঙ্গু জ্বর হলে অনেকে মনে করে থাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে আসলে তা নয় ডেঙ্গু জ্বর রোগ কেবল শুরু হয় তাহলে চিকিৎসা নিলেই ভালো হয়ে যাবে আর যদি বেশি পর্যায়ে চলে যায় তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
9. ডেঙ্গু জ্বর হলে ঘাড়ের পিছে অনেক ব্যথা করে এবং প্রচন্ড জ্বরও হতে পারে তাই এর থেকে সাবধান হতে হবে বা এই লক্ষণ বলে দেখা দিলে বুঝতে হবে যে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে।
10. ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার জন্য এডিট মশা কামড় দিতে হয় আর এই মশা সাধারণত অন্ধকারের ভেতর কামড় দেয় না যখন সকাল হয় বা সন্ধ্যা হয় এ সময় বেশিভাগ কামড় দেয় তাই এই সময় গুলো সচেতন থাকতে হবে গায়ে মশা বুঝতে দেওয়া যাবে না।
11. ডেঙ্গু জ্বর হলে অনেকে প্লাস্টিক এবং রক্তকণিকা নিয়ে চিন্তা হয়ে যায় কিন্তু এই চিন্তা হওয়ার ডাক্তারের কাছে অনেক বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
12. ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার জন্য বেশিরভাগ সময় আমাদের দায়ী কারণ অনেক সময় আমরা যেখানে সেখানে ভাঙ্গার হাড়ি পাতিল ফেলে রাখি যে স্বর্গে পানি জমে মশা জন্মায় আর সেই মশায় আস্তে আস্তে বিপদজনক হয়ে এডিস মশাই পরিণত হয় আর সে মশাগুলো আমাদের কামড়ালে আমরা ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়ে পড়ি।
13., বাড়ির আশেপাশে যদি কোন ছোট ছোট গাছপালা জঙ্গল হয়ে থাকে তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এখান থেকে।
14. কারো যদি প্রসাব ও মূল ত্যাগ করার পরে জ্বালাপোড়া করে তাহলে তাকে ডাক্তারের কাজ গিয়ে প্রস্রাব বা মক টেস্ট করে নিতে হবে দেখতে হবে যে তার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কিনা।
15. যদি কারো কয়েকদিন ধরে জ্বর হয়ে থাকে এবং ওষুধ খাওয়ার পরও ভালো হয় না তাহলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে কারণ বুঝতে হবে তাদের বোঝার হয়ে গেছে।
16. যদি কারো অনিয়মিত পায়খানা শুরু হয় তাহলে কিছু তো চিন্তা আছে। এমনকি এমনকি কারো হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসক বা হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হতে হবে।
17. ডেঙ্গু জ্বর হলে যে কোন ওষুধ খাওয়া যাবেনা কারণ এমন ওষুধ রয়েছে যেগুলো রক্তক্ষয় করতে পারে তাই ডাক্তারের অনুমতক নিয়ে ওষুধ খেতে হবে।
18. যদি বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বর হয় তাহলে এটি অনেক ভয়ের কারণ। সেজন্য যদি বাচ্চাদের মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা কর কাছে নিয়ে যেতে হবে আর সবসময় বাচ্চাদের মধ্যে রাখার চেষ্টা করতে হবে আক্রান্ত হয়ে পড়বে।
19. সবসময় বাসার বাইরে ঘোরাফেরা করা যাবে না সব সময় বিশ্রামে থাকতে হবে এবং রোদে যাওয়া যাবে না।
20. সবশেষে ডেঙ্গু জ্বর হওয়া থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সব সময় সচেতন থাকতে হবে তাহলে ডেঙ্গু জ্বর হবে না আর এবং সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলাচল করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে
আপনারা ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুজরে 20 টি ঊর্ধা জেনে ফেলেছেন এখন জানবো ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি খেতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর হলে যে সময় বিভিন্ন রকম খাবার রয়েছে সেগুলো যদি খেতে পারেন তাহলে এটা ডেঙ্গু জ্বরের জন্য অনেক ভালো হয়। জেনে রাখুন ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি খাবার খেতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর হলে বেশি বেশি দুধহা জাতীয় খাবার খেতে হবে ।
জাতীয় খাবার শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়াম এবং সালফার এগুলো পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে এতে করে ডেঙ্গু জ্বরের জন্য অনেক উপকারিতা হয় ডেভ্যজোড় হলে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। মাছ মানুষের ডিম ডাল ইত্যাদি সহ বেশি বেশি খাবার খেতে হবে। এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
যেমন স্যালাইন ডাবের পানি শসা খিরা তরমুজ বিভিন্ন ধরনের শরবত কোন ড্রিংকস তরল যাতে বা পানিও বেশি বেশি খাবার খেতে হবে। তরল যত খাবার খেলে শরীরে রক্ত তে ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব ছড়াতে পারে না এ কারণে ডেঙ্গুজাল হলে বেশি বেশি তরল জাত খাবার খেতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ
আমরা অনেকে জানিনা যে ডেঙ্গু জ্বর কিছু আছে রোগ না এটা কি রোগ। ডেঙ্গু জ্বর এক ধরনের ভাইরাস যেটা মশা থেকে ছড়ায় তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীর থেকে নয় মশার থেকে সাবধান থাকতে হবে। সাধারণত মশাগুলো দেখতে লাল আকৃতির হয়ে থাকে এই মশা গুলি কামড় দিলে ডেঙ্গু জ্বর হয় এ মশাটি যতজনকে কামড় দেবে তত জনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যাবে।
তাই সব সময় সাবধান থাকতে হবে এসব ধরনের মশা থেকে সব সময় মশারির মাঝে থাকতে হবে এবং গা হাত পায়ে বা গায়ে কোন ধরনের মশা পুঁতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এই রোগটা আবার ছোঁয়াচেও হয় যদি কোন ডেঙ্গুজরে আক্রান্ত ব্যক্তি অন্য কাউকে যদি তার শরীর থেকে রক্ত দেয়। তাহলে সেই ব্যক্তি ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়বে কারণ ।
তার রক্তেতে পুরোটাই মিশে আছে ডেঙ্গু জ্বর ডেঙ্গু জ্বর যাতে হয় না সে কারণে যাদের ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে ডেঙ্গু জ্বরের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তাদের থেকে রক্ত বা ব্লাড নেওয়া যাবে না। কারণ তারা এক ধরনের এখন ভাইরাস রোগে ভুগতেছে সে কারণে তার থেকে রক্ত নিলেশ সে ও নিজেও ভাইরাসে আক্রমণ হয়ে থাকবে। তাই এটাকে এক ধরনের সোয়াসের রোগ বলা হয়
এই পোস্টটি লিখেছেন বিখ্যাত ব্লগার Club Solver
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url